তৃণমূল পরোক্ষে গোয়ায় সাম্প্রদায়িক শক্তিকে প্রশ্রয় দিচ্ছে। তৃণমূল দলটি ভীষণভাবে সাম্প্রদায়িক। এমন অভিযোগে সম্প্রতি তৃণমূলে যোগ দেওয়া কংগ্রেস বিধায়ক-সহ চার নেতা দল ছেড়েছেন। প্রবীণ কংগ্রেস নেতা পি চিদম্বরমও তৃণমূলকে এক হাত নিয়েছেন।
তাঁর অভিযোগ, তৃণমূল বিরোধী ভোট কেটে বিজেপির সুবিধা করে দিচ্ছে। গোয়ায় তৃণমূল বা আপের কোনও ভোট নেই। তারা শুধু বিরোধী জোটের ভোট ভাগ করতে নেমেছে। বিজেপি যেভাবে গোয়ায় বিধায়ক কেনাবেচা করে দল বাড়ায়। তৃণমূলও একই পথ অবলম্বন করেছে। একই কৌশল আপেরও। দুই দলের কারওর ভোট নেই। শুধু ভোট ভাগাভাগির খেলায় নেমেছে তারা।
তাহলে কি তৃণমূল ও আপ বিজেপির বি টিম হিসাবে কাজ করছে গোয়ায়! প্রশ্নের জবাবে চিদম্বরম বলেন, এখানে কংগ্রেসই প্রধান দল। ৪০টি আসনে কংগ্রেসই জিতে আসবে। গোয়ায় কংগ্রেস ছেড়ে নেতারা তৃণমূলে যোগ দিচ্ছেন বলে যে দাবি উঠেছে, সে প্রসঙ্গে চিদম্বরম বলেন, যা প্রচার হয়, তার সবটাই সঠিক নয়। দুইজন কংগ্রেস বিধায়ক তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন তবে কোনও কর্মী যোগ দেননি। ৯৯ শতাংশ কর্মী কংগ্রেসেই আছেন।
পাশাপাশি এও বলেন, কংগ্রেস বিধায়ক এলিক্স রেনাগিলডো লোরেনকো তৃণমূলে যাওয়ায় আমিও খুশি। কারণ তিনি এবার নিজের কেন্দ্রে জিততে পারতেন কিনা সন্দেহ। তৃণমূল প্রার্থী করলে জেতেন কিনা দেখা যাক। প্রসঙ্গত, গোয়ায় ২০১৭ সালে কংগ্রেস ১৭টি এবং বিজেপি ১৩টি আসন পায়। আপ প্রতিদ্বন্দ্বিতা করলেও একটি আসন পায়নি।
এদিকে, গোয়া রাজনীতিতে তৃণমূল সাম্প্রদায়িকতা চালাচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন কংগ্রেস বিধায়ক লাভডো মামলেদোর। তিনি-সহ চার কংগ্রেস নেতা তিন মাস আগে তৃণমূলে যোগ দেন। শুক্রবার তাঁরা তৃণমূল ছাড়েন। তৃণমূল গোমন্তক পার্টির সঙ্গে জোট করে সাম্প্রদায়িক মেরুকরণের রাজনীতি করছে। যা আমাদেরদেশের ধর্মনিরপেক্ষতা বিরোধী। তাই তাঁরা দল ছেড়েছেন।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন