জমিয়ত উলামা-ই-হিন্দ কানপুর এবং প্রয়াগরাজে রাজ্য প্রশাসনের দ্বারা সাম্প্রতিক উচ্ছেদ অভিযান চালানোর বিরুদ্ধে শীর্ষ আদালতে আবেদন করেছে। শীর্ষ আদালত গত ১৬ জুন উত্তরপ্রদেশ সরকারকে বলেছিল যে, আইন অনুসারে অবৈধ নির্মাণগুলি ধ্বংস করা করা উচিত। প্রতিশোধমূলক ব্যবস্থা হিসাবে নয়।
এর প্রতিক্রিয়ায় উত্তরপ্রদেশ সরকার সুপ্রিম কোর্টে জানিয়েছে, আইনি পদ্ধতি মেনেই স্থানীয় উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ উচ্ছেদ অভিযান চালিয়েছিল। এর বিরুদ্ধে যে আবেদন পত্রটি জমা দেওয়া হয়েছে তা আইনানুগ ব্যবস্থাকে নোংরা রঙ দেওয়ার একটি প্রচেষ্টা মাত্র।রাজ্য সরকার একটি হলফনামায় বলেছে: "আইনি পদ্ধতি অনুসারে স্থানীয় উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের দ্বারা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিল।"
সূত্রের খবর, জমিয়ত উলামা-ই-হিন্দের দায়ের করা আবেদনপত্রে, বেশ কয়েকটি ঘটনার একতরফা মিডিয়া রিপোর্টিং এবং রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ রয়েছে।
হলফনামায় বলা হয়েছে, "যে সকল উচ্ছেদগুলির কথা উল্লেখ করা হয়েছে সেগুলি স্থানীয় উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ দ্বারাই ঘটেছে। যা আইনত স্বায়ত্তশাসিত সংস্থা এবং রাজ্যপ্রশাসনের থেকে স্বাধীন।" প্রসঙ্গত, বিজেপি নেত্রী নূপুর শর্মার বিতর্কিত মন্তব্যের প্রতিবাদ করেছিলেন উত্তরপ্রদেশের প্রয়াগরাজের বাসিন্দা নবি মহম্মদ। এরপর যোগী সরকারের তরফে তাঁর বাড়িটি বুলডোজার দিয়ে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল।
উত্তরপ্রদেশ সরকারের দাবি, যে অভিযোগগুলি উঠেছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা এবং বিভ্রান্তিকর। প্রকৃতপক্ষে যারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তাঁদের কেউই আইনি উচ্ছেদের বিরুদ্ধে উচ্চ-আদালতে যায়নি। রাজ্য সরকারের তরফে আরও জানানো হয়েছে, যিনি প্রশাসনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন তিনি হলফনামায় স্পষ্টভাবে কিছু উল্লেখ করেননি। মূল ঘটনাগুলিকে ইচ্ছাকৃভাবে অস্পষ্ট রাখা হয়েছে।
উত্তরপ্রদেশ সরকারের অভিযোগ, "আবেদনকারী জমিয়ত উলামা-ই-হিন্দ, হলফনামায় যথাযথ তথ্যপ্রমাণের রেকর্ড রাখতে ব্যর্থ হয়েছে এবং সরকারি আধিকারিকদের বিরুদ্ধে ভিত্তিহীন অভিযোগ করেছে। উচ্চ আদালতে অভিযোগ দায়ের করার জন্য শুধুমাত্র কিছু মিডিয়াকে বাছাই করেছে।"
রাজ্য সরকারের তরফে আরও জানানো হয়েছে যে, কানপুরে যে অবৈধ নির্মাণগুলি ভেঙে ফেলা হয়েছে সেগুলি যে অবৈধ সেটা সেখানকার দুই নির্মাতা স্বীকার করেছে। এর পাশাপাশি, জাভেদ মহম্মদের বাড়ি ভেঙে ফেলার ক্ষেত্রের সরকারের বক্তব্য, সেখানকার স্থানীয় বাসিন্দারা অভিযোগ করেছে যে, 'ওয়েলফেয়ার পার্টি অফ ইন্ডিয়া' -এর অফিস চালানোর নামে বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে অবৈধ নির্মাণ করা হয়েছে।
এছাড়া যে সকল ব্যক্তি দাঙ্গার সাথে সম্পর্কিত তাঁদের সকলের বিরুদ্ধে ফৌজদারি কার্যবিধি (সিআরপিসি), ইন্ডিয়ান পেনাল কোড (IPC), UP Gangster and Anti Social Activities (Prevention) Act, ১৯৮৬, Prevention of Public Property Damages Act; এবং (iv) Uttar Pradesh Recovery of Damages to Public and Private Property Act, ২০২০ এবং আইন ২০২১ অনুযায়ী কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।"
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন