এই মুহূর্তে কংগ্রেসে নির্বাচিত কোনও সভাপতিই নেই। তাই দলীয় বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত কে নেন, তাও কেউ জানেন না। গান্ধী পরিবারকে বিঁধে এমনই বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন প্রবীণ কংগ্রেস নেতা কপিল সিব্বল।
সম্প্রতি কংগ্রেসের অভিজ্ঞ প্রবীণ নেতৃত্ব তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। বঙ্গে বিধানসভা নির্বাচনে ব্যাপক জয়লাভের পর এখন ত্রিপুরা, অসমেও সংগঠন বিস্তারে সচেষ্ট হয়েছে তৃণমূল। সম্প্রতি কংগ্রেসের অসমের সুস্মিতা দেব, গোয়ার লুইজিনহো ফালেইরো তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। কংগ্রেসের একাংশ এসবের জন্য গান্ধী পরিবারের দিকেই আঙুল তুলেছে।
অভিযোগ, সব জেনেবুঝেও এই নেতাদের আটকানোর চেষ্টা করা হয়নি হাইকমান্ডের তরফে। এদিন সংবাদ মাধ্যমের সামনে কপিল সিব্বল স্পষ্ট বললেন, ‘আপনাদের সামনে আসতে খুবই খারাপ লাগছে। কিন্তু কিছু করার নেই।’
পাঞ্জাবে যাঁর ওপর ভরসা করা হয়েছিল, তিনিই আচমকাই ছেড়ে দিলেন পদ। এই সিদ্ধান্ত নিয়ে ক্ষুব্ধ কংগ্রেসের বিক্ষুব্ধরা। তাঁদের অন্যতম কপিল সিব্বল সাফ জানালেন, ‘জি হুজুর’ করতে পারবেন না। তারপরই তাঁর বিস্ফোরক মন্তব্য, ‘কংগ্রেসে এখন নির্বাচিত সভাপতি নেই। তাই কে সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন, জানি না। আমরা জি–২৩। অবশ্যই জি হুজুর–২৩ নই। তাই বিভিন্ন ইস্যুতে প্রশ্ন তুলব।’
প্রসঙ্গত, কপিল সিব্বল-সহ যে ২৩ জন শীর্ষ নেতা শীর্ষ নেতৃত্বের রদবদলের দাবিতে গত বছর আগস্টে সোনিয়া গান্ধীকে চিঠি লেখেন, তাঁদের নিয়ে গঠিত জি-২৩। বর্তমান নেতৃত্বের কাজকর্ম নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তাঁরা।
ওই বিক্ষুব্ধ দলে ছিলেন গুলাম নবি আজাদ। তিনিও ফের একহাত নিয়ে গান্ধী পরিবারকে নিশানা করে বললেন, ‘কেন সবাই কংগ্রেস ছাড়ছেন? দেখা উচিত যে, আমাদের দোষ কিনা! এখনই কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠক ডাকা উচিত। আমরা দলের নীতি বিসর্জন দিয়ে যেখানে সেখানে যাব না। কিন্তু মজার বিষয়, যাঁর ওঁদের (নেতৃত্বের) কাছের, তাঁরাই ছেড়ে চলে গিয়েছে। আর যাঁরা দূরের, তাঁরাই এখনও দলে রয়ে গিয়েছেন।’
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন