উচ্চ প্রাথমিকে ১৪ হাজার কাউন্সিলিং-এ ছাড়পত্র দিল সুপ্রিম কোর্ট। ফলে শীর্ষ আদালতেও কলকাতা হাইকোর্টের রায় বহাল থাকলো।
২০১৬ সালে উচ্চ প্রাথমিকে একটি প্যানেল প্রকাশিত হয়েছিল। যা নিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হন চাকরিপ্রার্থীদের একাংশ। তাঁদের দাবি ছিল, পুরনো প্যানেলে অনেকের নাম ছিল কিন্তু নতুন প্যানেল প্রকাশ হওয়ার পর অনেকের নাম বাদ গেছে। তাই কাউন্সেলিং বন্ধ করা উচিত। কিন্তু স্কুল সার্ভিস কমিশনের তরফ থেকে কাউন্সেলিং-র আবেদন জানানো হয়। তাতে সম্মতি দেয় হাইকোর্ট। পরে হাইকোর্টের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে শীর্ষ আদালতে যান চাকরিপ্রার্থীরা।
মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি হিমা কোহলি এবং বিচারপতি আসাউদ্দিন আমানুল্লাহর ডিভিশন বেঞ্চে মামলাটির শুনানি ছিল। ডিভিশন বেঞ্চ জানায়, ১৪,৩৩৯টি শূন্যপদে কাউন্সেলিং করতে পারবে এসএসসি। নিয়ম মেনেই সমস্ত প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে বলেই নির্দেশ শীর্ষ আদালতের। তবে কাউন্সেলিং-র পর হাইকোর্ট যা রায় দেবে তাকে চ্যালেঞ্জ জানাতে পারবেন চাকরি প্রার্থীরা।
প্রসঙ্গত, গত ১৭ অক্টোবর হাইকোর্টের বিচারপতি উদয় কুমার এবং বিচারপতি সৌমেন সেনের ডিভিশন বেঞ্চ কাউন্সেলিং চালু করার অনুমতি দেয়। আদালতের নির্দেশ মেনে কাউন্সেলিংও শুরু করে এসএসসি। কিন্তু শীর্ষ আদালতে মামলা দায়ের হওয়ায় কাউন্সেলিং প্রক্রিয়া নিয়ে প্রশ্নচিহ্ন দেখা দেয়। তবে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে আপাতত স্কুল সার্ভিস কমিশনের কাছে কোনো বাধা থাকলো না।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন