একের পর এক সরকারি প্রতিষ্ঠানের বেসরকারিকরণের কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্তে স্বাভাবিকভাবে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে, সরকারি চাকরি বলে আদৌ কিছু থাকবে কিনা। দেশের কোটি কোটি বেকার যুবর ভবিষ্যৎ কী হবে? কেন্দ্রের বিরুদ্ধে তোপ দেগে এমনই প্রশ্ন তুললেন বিজেপি সাংসদ বরুণ গান্ধী।
প্রসঙ্গত, বুধবারই রাহুল ও প্রিয়াঙ্কা গান্ধী বছরের পর বছর রেলের নিয়োগ পরীক্ষা না হওয়া নিয়ে কেন্দ্রকে নিশানা করেছিলেন। ২৪ ঘন্টার মধ্যেই একই সুর শোনা গেল বরুণ গান্ধীর গলায়। এই বিষয়টিকে রাজনৈতিক মহল তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে। তাঁর বক্তব্য, গ্রামীণ এলাকার শিক্ষিত ছেলেমেয়েদের একটা বড় অংশ সরকারি চাকরির উপর নির্ভর করে। সবথেকে বেশি নিয়োগ হয় রেল, প্রতিরক্ষা, শিক্ষা ও পুলিশে। কিন্তু এখন উল্লেখযোগ্যভাবে কোনও সরকারি চাকরিই নেই।
সরকারি ক্ষেত্রে নিয়োগ না হওয়ার কারণ হিসেবে উঠে আসে নানা বিতর্কিত বিষয়। কখনও পরীক্ষা হয় কিন্তু প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়ে যায়। কখনও পরীক্ষা হলেও দিনের পর দিন তার রেজাল্ট প্রকাশিত হয় না। এছাড়াও দুর্নীতির কারণে বাতিল হয়ে যাওয়ার বিষয় তো আছেই। যোগীরাজ্য উত্তরপ্রদেশেই ১৭ বার পরীক্ষা বাতিল হয়েছে।
বরুণের অভিযোগ, ১ কোটি ২৫ লক্ষ ভারতীয় যুবক রেলের গ্রুপ ডি চাকরির পরীক্ষার ফলাফলের জন্য ২ বছরেরও বেশি সময় অপেক্ষা করছে। ভারতীয় সেনাবাহিনীর নিয়োগের পরীক্ষার চিত্রও সেই একই। গত ২ বছরে শুধু উত্তরপ্রদেশেই ১৭ বার নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁস হয়েছে। এটা দুর্নীতি নয়তো কী?
স্বাভাবিক ভাবে বরুণের সরব হওয়ার বিষয়ে অস্বস্তি বেড়েছে মোদি সরকারের অন্দরে। কারণ, রেলের গ্রুপ ডি পরীক্ষার বিজ্ঞাপন বেরিয়েছে প্রায় আড়াই বছর আগে। কিন্তু এখনও পরীক্ষা কবে হবে তা জানা যায়নি। আবার টেকনিক্যাল পরীক্ষা হয়ে যাওয়ার পরও নিয়োগ হয়নি।
এর আগেও দলীয় নেতা বা সংসদের কথা জেরে অস্বস্তিতে পড়তে হয়েছে মোদি সরকারকে। বরুণ গান্ধীর মতোই আর এক বিজেপি সাংসদ সুব্রহ্মণ্যম স্বামীও সরকারকে চেপে ধরেছেন চিন নিয়ে। তিনি গতকাল অভিযোগ করেছিলেন, তাঁকে সংসদে চিনের অনুপ্রবেশ নিয়ে কিছু বলতে দেওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়নি। তাঁকে অরুণাচল প্রদেশের বিজেপি সাাংসদ তাপির গাও জানিয়েছেন, চিনের লালফৌজ ম্যাকমোহন লাইন অতিক্রম করে ভারতে ঢুকেছে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন