অবৈধ খনি মামলায় উত্তরপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা সমাজবাদী পার্টির প্রধানকে বুধবার তলব করেছিল সিবিআই। CRPC ১৬০ ধারায় বৃহস্পতিবার দিল্লিতে ফেডারেল এজেন্সির সামনে হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ জারি করা হয়েছিল। কিন্তু সিবিআইয়ের সেই তলবে সাড়া দিলেন না অখিলেশ যাদব। তাঁর দাবি, “সিবিআই তো এখন বিজেপির শাখা হিসাবে কাজ করছে।’’
বৃহস্পতিবার সমাজবাদী পার্টির তরফে আয়োজিত দলিত, অনগ্রসর এবং সংখ্যালঘু সংগঠনের সভায় যোগ দেন অখিলেশ যাদব। সেই সভায় সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে এসপি প্রধান জানান, ‘‘ভোটের আগে সমন পাঠিয়েছে। ওরা (সিবিআই) তো এখন বিজেপির শাখা হিসাবে কাজ করছে।’’ এর পরেই সিবিআই সমন প্রসঙ্গে তাঁর মন্তব্য, ‘‘আমি যে কাগজ পেয়েছিলাম তার উত্তর দিয়ে দিয়েছি।’’
অবৈধ খনি মামলায় অভিযুক্ত হিসাবে নয়, অখিলেশ যাদবকে সাক্ষী হিসাবে জবানবন্দী দিতেই তলব করেছিল সিবিআই। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার অভিযোগ ছিল, ২০১২ থেকে ২০১৬ সালের মধ্যে অখিলেশ যাদব উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীন, হামিরপুর জেলায় অবৈধ খনি মামলায় একটি এফআইআর দায়ের করা হয়। সেই এফআইআরে ১১ জনের নাম ছিল। সেই ১১ জনের মধ্যে ছিল একজন অজ্ঞাত সরকারী কর্মচারী।
সেই এফআইআর অনুসারে, অবৈধ খনির কারণে রাজ্যের কোষাগারের ক্ষতি হয়েছে এবং কর্মকর্তারা নিজেদের লাভের জন্য তাঁদের ক্ষমতার অপব্যবহার করেছেন। সেই এফআইআরের ভিত্তিতে অখিলেশ যাদবকে তলব করেছে সিবিআই।
তদন্তে জানা গেছে, সরকারী কর্মচারীরা টেন্ডারিং পদ্ধতি অনুসরণ না করে, অবৈধভাবে নতুন ইজারার অনুমতি দিয়েছেন। এফআইআরে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, অবৈধভাবে খনি খননের পাশাপাশি, পরিবহনকারীদের কাছ থেকে অর্থ আদায় করার অনুমতি দেওয়া হয়েছিল।
২০১৬ সালের জুলাই মাসে এলাহাবাদ হাইকোর্ট হামিরপুরের বেআইনি খনন নিয়ে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেয়। সেইসময় হাইকোর্টের পর্যবেক্ষণ ছিল, প্রাকৃতিক কোনো জিনিস লুঠ করলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এর পরে ২০১৯ সালের জানুয়ারিতে সিবিআই এই বিষয়ে একটি এফআইআর দায়ের করে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন