সারা দেশের সামনে সাসপেন্ডেড বিজেপি মুখপাত্র নূপুর শর্মার ক্ষমা চাওয়া উচিৎ। হজরত মহম্মদ প্রসঙ্গে বিজেপি মুখপাত্রর সাম্প্রতিক মন্তব্য ঘিরে দেশজোড়া বিতর্কের পর শুক্রবার একথা জানিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। তাঁর মন্তব্যের জেরেই দেশজুড়ে সাম্প্রতিক উত্তেজনা তৈরি হয়েছে বলে অভিমত শীর্ষ আদালতের। এদিন সুপ্রিম কোর্টের অবসরকালীন বেঞ্চে বিচারপতি সূর্যকান্ত এবং জে বি পারদিওয়ালা-র বেঞ্চ এই মামলার পর্যবেক্ষণ করেন। আদালত জানায়, ‘এঁরা কখনই ধার্মিক মানুষ নন, এঁরা উস্কানি দেবার জন্য এইধরণের মন্তব্য করেন।’
এদিন আদালতে বিচারপতিরা তাঁদের পর্যবেক্ষণে জানান, “কী কারণে তিনি এই মন্তব্য করেছিলেন?...যেভাবে তিনি সারা দেশে আবেগের আগুন জ্বালিয়েছেন... দেশে যা ঘটছে তার জন্য এই মহিলা একাই দায়ী।”
আদালত জানায়, তাঁর উচিত ছিল টিভিতে গিয়ে জাতির কাছে ক্ষমা চাওয়া... তাঁর মন্তব্য প্রত্যাহার করতে অনেক দেরি হয়ে গেছে... এবং অনেক পরে তিনি শর্তসাপেক্ষে সেই বক্তব্য প্রত্যাহার করে জানিয়েছেন, কারও অনুভূতিতে আঘাত লাগলে…
এদিন শীর্ষ আদালতের পক্ষ থেকে বিচারপতি সূর্যকান্ত জানান, আমরা পর্যবেক্ষণ করেছি, কীভাবে তাঁর মন্তব্যের পর এই ইস্যুতে বিতর্ক ছড়িয়ে পড়েছে। কিন্তু যেভাবে তিনি এই মন্তব্য করেছেন এবং পরে জানিয়েছেন তিনি একজন আইনজীবী তা অবশ্যই নিন্দাযোগ্য।
এদিন তিনি আরও বলেন, তিনি হুমকির মুখে পড়েছেন নাকি তিনি নিরাপত্তার হুমকির কারণ হয়েছেন? দেশে সাম্প্রতিক সময়ে যা ঘটেছে তার জন্য এই মহিলা এককভাবে দায়ি। আদালত তাঁর সম্পর্কে পর্যবেক্ষণে আরও জানিয়েছে, ‘ইনি অনড় এবং অহংকারী চরিত্রের।’
এদিন বিচারপতি সূর্যকান্ত বলেন, তিনি সম্ভবত মনে করেছিলেন, তিন এক দলের মুখপাত্র। তিনি ক্ষমতার বলে দেশের আইনের প্রতি শ্রদ্ধা না রেখে যে কোনও বিবৃতি দিতে পারেন। যদিও নূপুর শর্মার আইনজীবী মনিন্দর সিং জানান, তিনি এক প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে হজরত মহম্মদ সম্পর্কে ওই মন্তব্য করেছিলেন। এর উত্তরে আদালত জানায়, সেক্ষেত্রে ওই অনুষ্ঠানের সঞ্চালকের বিরুদ্ধেও মামলা করা উচিৎ।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন