ফের কি ফিরতে চলেছে বিতর্কিত তিন কৃষি আইন। তা দিয়ে আবার জল্পনা শুরু হয়ে গেল। গতবছর প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদি তিনটি কৃষি আইন প্রত্যাহার করে নেন। কৃষকরা সেটাকে তাঁদের নৈতিক জয় বলে দাবি করেছিলেন। যদিও প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীরা সেই বিতর্কিত আইনগুলি ফেরত আনার জন্য সওয়াল করেছিলেন। তা নিয়ে দেশজুড়ে আরেকপ্রস্থ বিতর্ক তৈরি হয়। যথেষ্ট জলঘোলা হয়।
সুপ্রিম কোর্টের নিযুক্ত প্যানেল তাদের রিপোর্টে জানিয়েছে, বেশিরভাগ কৃষক সংগঠনই বিতর্কিত তিন কৃষি আইনকে সমর্থন করেছে। বাকি কৃষকরা এই ইস্যুকে হাতিয়ার করে নিজেদের কর্মসূচি সাজিয়েছিলেন যাতে পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনে ক্ষমতায় না আসতে পারে বিজেপি। কিন্তু বাস্তব চিত্র সম্পূর্ণ উল্টো। পাঞ্জাব ছাড়া বাকি সব রাজ্যে বিজেপি সরকার গঠন করেছে।
প্রসঙ্গত, টানা প্রায় একবছর দিল্লি সীমান্তে কৃষকরা বিতর্কিত তিন কৃষি আইন প্রত্যাহারের দাবিতে দিন-রাত লাগাতার আন্দোলন চালিয়ে গিয়েছেন। লালকেল্লাতেও অভিযান চালান তাঁরা। আন্দোলনকারী কৃষকদের ওপর লাঠি, গুলি থেকে জলকামান প্রয়োগ- কোনও কিছুই বাদ যায়নি। কিন্তু তাতেও দমে যাওয়ার কোনও লক্ষণ দেখা যায়নি। সংসদে অধিবেশন চলাকালীন সেখানেও জমায়েত করেন কৃষকরা। ঝড়-জল উপেক্ষা করে কৃষি আইন প্রত্যাহারের দাবিতে কৃষকরা রাস্তায় অবস্থানও করেন। এসবের জেরেই প্রধানমন্ত্রী তিন কৃষি আইন প্রত্যাহারের কথা ঘোষণা করেন বলে দাবি কৃষকদের। সংসদে ওই সব আইন প্রত্যাহারের প্রস্তাব পাশ করানো হয়।
কেন্দ্র বরাবর জানিয়েছে, ওই তিন কৃষি আইনই কৃষকদের স্বার্থের কথা ভেবেই তৈরি করা হয়েছে। কৃষকদের আন্দোলন খালিস্তানপন্থীদের উসকানির ফল। শুধু মোদি নন। বিজেপিও বিতর্কিত তিন কৃষি আইনের পক্ষে সওয়াল করেছে। পাঁচ রাজ্যে বিধানসভা ভোটের পরও প্রধানমন্ত্রী সেই একই দাবি করেছেন, প্রত্যাহার করা বিতর্কিত কৃষি আইনগুলো কৃষকদের পক্ষেই ছিল। তার মধ্যেই সুপ্রিম কোর্টের নিযুক্ত প্যানেল ঘুরিয়ে ওই আইনের পক্ষেই সওয়াল করলেন।
কমিটির সদস্য অনিল গানওয়াত, ড. প্রমোদকুমার জোশী ও অশোক গুলাটি রিপোর্টে জানিয়েছেন, ৬১টি কৃষক সংগঠনের সদস্য বিতর্কিত কৃষি আইন ফেরানোর পক্ষে মত দিয়েছেন। এই সব সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত আছেন ৩ কোটি ৩০ লক্ষ সদস্য।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন