সাম্প্রতিক বন্যায় ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ফসল। তার জন্য ক্ষতিপূরণ, ফসলের ন্যূনতম সহায়ক মূল্য বা MSP-তে আইনি গ্যারান্টি ও ঋণ মকুবের দাবিতে রাজ্য জুড়ে ‘রেল রোকো’ কর্মসূচী নিয়েছে পাঞ্জাবের কৃষক সম্প্রদায়। আজ তিনদিনে পড়ল সেই কর্মসূচী। কৃষকদের এই কর্মসূচীর জেরে কার্যত স্তব্ধ হয়ে গিয়েছে পাঞ্জাবের রেল পরিষেবা।
ভারতের বিভিন্ন রাজ্য ভারী থেকে অতিভারী বর্ষণের সাক্ষী থেকেছে। এই লাগামছাড়া বৃষ্টির ফলে ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে, যার ফলে চরম দুশ্চিন্তার মুখোমুখি হয়েছেন কৃষকরা। পাঞ্জাবে এই ক্ষতিগ্রস্ত ফসল ও কৃষকদের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। তাই এবারে সরকারের কাছে ক্ষতিগ্রস্ত ফসলের জন্য ক্ষতিপূরণ চেয়ে ‘রেল’ পথে নেমেছে কৃষক সংগঠনগুলি। রাজ্যের অমৃতসর, ভাতিণ্ডা, পাতিয়ালা, ফিরোজপুর, মোগা, হোশিয়ারপুর, গুরদাসপুর, জলন্ধর-সহ একাধিক জায়গায় রেলপথ অবরোধ করেছেন কৃষকরা।
রেল কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়েছে, আন্দোলনের ফলে ব্যাপকভাবে ব্যাহত হয়েছে রেল পরিষেবা। একাধিক রেল হয় বাতিল করে দেওয়া হয়েছে, নয়তো গতিপথ পাল্টে দেওয়া হয়েছে। ফলে ব্যাপক সমস্যার মুখে পড়েছেন পাঞ্জাব ও হরিয়ানার অসংখ্য যাত্রী।
শনিবারই কৃষকদের এই আন্দোলনের তৃতীয় তথা শেষদিন। এই আন্দোলনের ফলে আম্বালা ও ফিরোজপুর রেল বিভাগ সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানিয়েছে রেল কর্তৃপক্ষ। ফিরোজপুর ডিভিশনের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, তিনদিনের এই কর্মসূচীর কারণে মোট ৫৮১ যাত্রীবাহী এবং ১৭টি মালবাহী ট্রেন বাতিল করা হয়েছে, নয়তো গতিপথ পাল্টে দেওয়া হয়েছে।
পাঞ্জাবের আপ সরকারের কাছে তিনদফা দাবি জানিয়েছে আন্দোলনকারী কৃষকরা। তাঁদের দাবি, শুধু পাঞ্জাব নয়, গোটা উত্তর ভারতের রাজ্যগুলির জন্য ফসলের ক্ষতিপূরণ হিসেবে ৫০ হাজার কোটি টাকার প্যাকেজের ঘোষণা করতে হবে সরকারকে। পাশাপাশি, স্বামীনাথন কমিশন রিপোর্ট অনুযায়ী সমস্তরকমের ফসলে মিনিমাম সাপোর্ট প্রাইস বা MSP-তে আইনি গ্যারান্টি দিতে হবে। মকুব করে দিতে হবে কৃষকদের সমস্ত বকেয়া ঋণ।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন