একে বিধানসভা নির্বাচনে হেরে সিংহাসনচ্যুত হওয়া, তার উপর একাধিক দলীয় নেতার কংগ্রেসের সাথে যোগাযোগের খবরে জেরবার কর্ণাটক বিজেপি। এবার রাজ্য বিজেপির নতুন মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে নির্বাচনের টিকিট প্রতারণাকাণ্ডে গ্রেফতার হিন্দুত্ববাদী নেত্রী চৈত্রা কুণ্ডাপুরা। অভিযোগ, এক শিল্পপতিকে রাজ্য বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির টিকিট দেওয়ার নাম করে তাঁর থেকে ৫ কোটি টাকা নিয়েছিলেন ওই নেত্রী।
সম্প্রতি এই টিকিট প্রতারণা মামলায় চৈত্রা কুণ্ডাপুরাকে গ্রেফতার করা হলে গোটা কর্মকাণ্ডের পিছনে কর্ণাটক বিজেপির মদতের অভিযোগ উঠেছে। তবে রাজ্য বিজেপির তরফে ওই হিন্দুত্ববাদী নেত্রীর সঙ্গে সমস্ত সম্পর্ক অস্বীকার করে এই অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে। রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা বিজেপি নেতা বাসবরাজ বোম্মাই জানিয়েছেন, “চৈত্রা কুণ্ডাপুরা মামলার সঙ্গে আমাদের কোনও সম্পর্ক নেই। এই ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত হওয়া প্রয়োজন। যারা যারা এর সঙ্গে যুক্ত রয়েছে, তাদের সবার শাস্তি হোক, দোষীরা গ্রেফতার হোক।”
বৃহস্পতিবার বোম্মাই আরও জানিয়েছেন, “নির্বাচনের টিকিট দেওয়ার নাম করে টাকা নেওয়ার বিষয়টা আমরা বিবেচনা করে দেখেছি। তবে এটা স্পষ্ট যে, এই ঘটনার সঙ্গে বিজেপির কোনও সম্পর্ক নেই। দোষীরা বড় বড় নাম নেবেই। কিন্তু আমরা চাই এই ঘটনা নিয়ে তদন্ত হোক আর আসল সত্যিটা বেরিয়ে আসুক।”
অন্যদিকে, রাজ্যের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তথা কংগ্রেস নেতা জি. পরমেশ্বর জানিয়েছেন, “হিন্দুত্ববাদীদের মিথ্যা মামলায় গ্রেফতার করা হচ্ছে, এমন খবর ছড়ানো হচ্ছে। এই অভিযোগ মিথ্যা। আমাদের কাছে খবর আছে, কুণ্ডাপুরা এক শিল্পপতিকে বিজেপির হয়ে নির্বাচনের টিকিট দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে ৩.৫ কোটি টাকা নিয়েছিলেন। পুলিশের কাছেও এই বিষয়েই মামলা দায়ের হয়েছে। এই মামলা নিয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে, কুণ্ডাপুরার বয়ান নিয়ে তাঁকে গ্রেফতারও করা হয়েছে। এর পিছনে যদি কোনও ধর্মীয় পরিদর্শক থাকেন, তাহলে তাঁকেও গ্রেফতার করা হবে।”
পুলিশ সূত্রে খবর, ওই শিল্পপতির নাম গোবিন্দ বাবু পূজারি। অভিযুক্ত কুণ্ডাপুরা জিজ্ঞাসাবাদের সময় টিকিট কেলেঙ্কারির ঘটনায় একাধিক ‘বড়’ বিজেপি নেতার নাম নিয়েছেন তিনি। এবং এখানেই অস্বস্তি বেড়েছে রাজ্য বিজেপির।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন