চব্বিশের লোকসভা নির্বাচনে কেন্দ্রের বিজেপি বিরোধী জোটে নেতৃত্ব দিতে চায় তৃণমূল। তাই সম্প্রতি ইউপিএ-র অস্তিত্বকে অস্বীকার করছে তৃণমূল। তবে ঘাসফুল শিবিরের এই দাবির সঙ্গে বাস্তব দেশীয় রাজনীতির কোনও যোগ নেই। এমনই দাবি করলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি তথা বহরমপুরের সাংসদ অধীর রঞ্জন চৌধুরী।
বিরোধী জোটে কংগ্রেস, তৃণমূল উভয়েই থাকলেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রশ্ন তোলেন, 'ইউপিএ কই?' এই প্রশ্নের বিরোধিতা করেছে বিরোধী জোটের অন্য দলগুলি। পাশাপাশি তৃণমূলের দাবি, কংগ্রেস নয়, বিজেপির বিরুদ্ধে লড়ছে তৃণমূলই। কেননা কংগ্রেস বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ব্যর্থ হয়েছে। গত ১০ বছরে কংগ্রেস প্রায় ৯০ শতাংশ নির্বাচনে বিজেপির কাছে পরাজিত হয়েছে বলেও পরিসংখ্যান তুলে দাবি করেছে তৃণমূল কংগ্রেস।
তীব্র কটাক্ষ করে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী বলেছেন, আগামী লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূলের বিরোধী জোটকে নেতৃত্ব দিয়ে বিজেপিকে হারানোর দাবি নেহাতই হাস্যকর। এব্যাপারে পাল্টা প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন তৃণমূল মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তিনি বলেন, অধীর চৌধুরীর বক্তব্য আলাদা কিছুই নয়। তাঁর মন্তব্যকে গুরুত্ব দেওয়ারও দরকার নেই। অধীর চৌধুরীর নেতৃত্বে বিধানসভা নির্বাচনে কংগ্রেস শূন্য হয়েছে। সেই পরিস্থিতিতে বিজেপির বিরুদ্ধে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই শক্তিশালী বিরোধী, এটাই সত্য।
অন্যদিকে, অধীরের কটাক্ষ, তৃণমূল সুপ্রিমো দুর্নীতিমুক্ত পুরবোর্ড গঠনের যে ডাক দিয়েছেন, তা জনসাধারণকে বোকা বানাচ্ছে। যাঁরা মনোনয়ন পেয়েছেন, তাঁরাই দুর্নীতিতে যুক্ত। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ করে অধীর চৌধুরী বলেছেন, তৃণমূল ভোট লুট করে। তিনি আগে স্থানীয় নির্বাচনে প্রমাণ করেছেন।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন