গতকালই জাতীয় দলের তকমা হারিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। সেই নিয়ে ঘোর এখনও কাটেনি বাংলার শাসক দলের। এর ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই রাজ্যসভার সাংসদ পদ থেকে ইস্তফা দিলেন তৃণমূল নেতা লুইজিনহো ফেলেইরো। তাহলে কি এবার তৃণমূলও ছাড়তে চলেছেন গোয়ার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী? এই নিয়ে শুরু হয়েছে জল্পনা।
মঙ্গলবার উপরাষ্ট্রপতি তথা রাজ্যসভার চেয়ারপার্সন জগদীপ ধনখড়ের দফতরে গিয়ে পদত্যাগপত্র জমা দিয়ে আসেন লুইজিনহো ফেলেইরো।
সূত্রের খবর, সম্প্রতি দিল্লিতে তৃণমূলের এক ঘরোয়া বৈঠকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে বলতে শোনা গিয়েছিল, লুইজিনহো ফেলেইরোকে রাজ্যসভায় পাঠানো তৃণমূলের ভুল সিদ্ধান্ত। চারটে সিদ্ধান্ত নিলে তার মধ্যে একটা ভুল হতেই পারে এবং সেই ভুল থেকে দল শিক্ষা নিচ্ছে, এমন কথাও শোনা যাচ্ছিল। অভিষেকের এই মন্তব্যের সাথে লুইজিনহোর ইস্তফার সম্পর্ক আছে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। যদিও এই বিষয়ে এখনও কোনও মন্তব্য করেননি ফেলেইরো।
দীর্ঘদিন কংগ্রেস করার পর ২০২১ সালে তৃণমূলে যোগ দেন গোয়ার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী। ওই বছরই ১৫ সেপ্টেম্বর রাজ্যসভার সাংসদ পদ থেকে ইস্তফা দেন নাট্যব্যক্তিত্ব অর্পিতা ঘোষ। মেয়াদ শেষ হবার আগেই ইস্তফা দিয়েছিলেন অর্পিতা। বলপূর্বক অর্পিতাকে ইস্তফা দেওয়ানো হয়েছে বলে গুঞ্জন উঠেছিল সেই সময়। তারপর ২০২১ সালের নভেম্বরে অর্পিতার জায়গায় তৃণমূলের হয়ে মনোনয়ন দেন ফেলারিও। কিন্তু তিনিও নির্দিষ্ট সময়ের আগেই ইস্তফা দিলেন। ২০২৬ সালে ফেলেইরোর সাংসদ পদের মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা।
এই প্রসঙ্গে তৃণমূলের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, ফেলেইরোর ইস্তফা নিয়ে কোনও খবরই ছিল না তাদের কাছে।
সাংসদ পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার পর এবার কি তৃণমূলও ছাড়বেন লুইজিনহো, সেটাই দেখার।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন