প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী সি.এন আন্নাদুরাইয়ের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে মোট ৪৬ জন আসামীকে মুক্তি দেওয়ার কথা ঘোষণা করল তামিলনাড়ুর কারাবাস ও সংশোধনাগার পরিষেবা (Prison and Correctional Services) দফতর। আর সেই ৪৬ জনের মধ্যে রয়েছে কোয়েম্বাটুর বিস্ফোরণের অন্যতম অভিযুক্ত তথা সন্ত্রাসবাদী সংগঠন ‘আল-উম্মা’র প্রতিষ্ঠাতা এসএ বাশা। আগামী ১৫ সেপ্টেম্বর ওই কয়েদিদের মুক্তি দেওয়ার কথা ঘোষণা করা হয়েছে। রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা এবং বিচারব্যবস্থার উপর এর প্রভাব সুদূরপ্রসারি হতে পারে বলে মনে করছে বিশেষজ্ঞ মহল।
তবে এই প্রক্রিয়া এখনও পর্যন্ত অনুমোদনের পর্যায়েই রয়েছে। রাজ্যের কারাবাস ও সংশোধনাগার পরিষেবা দফতরের তরফে সরকারের কাছে এই বিষয়ে ছাড়পত্র চেয়ে আবেদন করা হয়েছে। বাশা-সহ ৪৬ জন কয়েদির নামের তালিকাও জমা দিয়েছে কারা দফতর। কিন্তু এখানেই বিভিন্ন মহলে প্রশ্ন উঠছে, সৌহার্দ্যের খাতিরে এত কুখ্যাত সন্ত্রাসবাদীর মুক্তিতে অনুমতি কি দেওয়া উচিত রাজ্যের কারা মন্ত্রকের?
প্রসঙ্গত, ১৯৯৮ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি তামিলনাড়ুর কোয়েম্বাটুরে তৎকালীন ভারতের উপ-প্রধানমন্ত্রী তথা বর্ষীয়ান বিজেপি নেতা লালকৃষ্ণ আডবানিকে লক্ষ্য করে সংঘটিত ধারাবাহিক বোমা বিস্ফোরণের ঘটনায় অন্যতম অভিযুক্ত এসএ বাশা। ওই ভয়াবহ বিস্ফোরণে প্রায় ৫৮ জোন প্রাণ হারিয়েছিলেন এবং গুরুতরভাবে আহত হয়েছিলেন ২০০ জনেরও বেশি। সেইসময়ের ওই বিস্ফোরণে তামিলনাড়ুর অন্যতম প্রধান বাণিজ্যনগর কোয়েম্বাটুর প্রায় ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছিল এবং বিস্ফোরণে অন্যতম অভিযুক্ত হিসেবে দোষী প্রমাণিত হন বাশা।
২০২২ সালের সেপ্টেম্বর মাসে সন্ত্রাসবাদী সংগঠন পপুলার ফ্রন্ট অফ ইন্ডিয়া (PFI)-কে নিষিদ্ধ বলে ঘোষণা করে দেওয়ার পর থেকেই তামিলনাড়ুতে সন্ত্রাসবাদ এবং ইসলামপন্থী মৌলবাদী ক্রিয়াকলাপ অনেকটাই হ্রাস পেয়েছে। তাই এখনই বাশা’র মতো একজন কুখ্যাত সন্ত্রাসবাদীকে মুক্তি দিলে সেটা তামিলনাড়ুর শান্ত হয়ে আসা সন্ত্রাসবাদকে ফের মাথা চাড়া দিয়ে উঠতে সাহায্য করবে বলেই মনে করছে বিশেষজ্ঞ মহল।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন