গত দশ মাসে কোভিড ভ্যাকসিনের ১১টি ডোজ নিয়েছেন তিনি এবং এর ফলে প্রচুর উপকার হয়েছে তাঁর। সংবাদমাধ্যমের সামনে উদ্ভট এই দাবি করলেন বিহারের ৮৪ বছরের এক বৃদ্ধ। বৃদ্ধের এই দাবি ঘিরে তোলপাড় শুরু হয়েছে রাজ্যজুড়ে। এই ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে স্বাস্থ্য দপ্তর।
বিহারের মাধেপুরা জেলার চৌসার বাসিন্দা ব্রহ্মদেব মন্ডল মিডিয়ার সামনে দাবি করেছেন গত ১০ মাসে ১১বার করোনার ভ্যাকসিন নিয়েছেন তিনি। তিনি বলেন, "ভ্যাকসিন হলো অমৃত। এগুলোর (ভ্যাকসিন) ফলে প্রচুর উপকৃত হয়েছি আমি। কোমর ব্যথার মতো সমস্যারও সমাধান হয়েছে আমার। আমার শরীরে এখন অক্সিজেন (স্যাচুরেশন) অনেক বেশি। সর্দি বা কাশিতেও ভুগি না এখন আর।"
তাঁর কথায়, সরকার খুবই উপকারী একটি ভ্যাকসিন বাজারে এনেছে। অন্যরা কেন তাঁর মতো বেশিবার ভ্যাকসিন নিচ্ছেন না তা জানতে চেয়েছেন তিনি।
কীভাবে এতোগুলো ডোজ নিতে সক্ষম হয়েছেন তিনি তা নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, প্রতিবারই একই ফোন নাম্বার এবং আধার কার্ড ব্যবহার করে নিজের নাম রেজিস্টার করেছেন তিনি। প্রতিবারই একজায়গা থেকে ভ্যাকসিন নিয়েছেন তিনি। কোনোবারই কোনো অসুবিধা হয়নি। তাঁর কথায়, "এখানে তো সরকারের নজরদারির কোনো ব্যবস্থা নেই।"
সম্প্রতি নিজের ১২ তম ডোজটি নিতে স্থানীয় প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে গিয়েছিলেন ডাক বিভাগের প্রাক্তন এই কর্মচারী। কিন্তু টিকাকরণ প্রক্রিয়া স্থগিত থাকায় ডোজটি পাননি তিনি। তখনই এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসে। আগের ১১টি ডোজেরই বিস্তারিত তথ্য গুছিয়ে রেখেছেন তিনি বলে জানিয়েছেন। নিজের টিকা নেওয়ার তালিকাও সংবাদমাধ্যমের সামনে পড়ে শুনিয়েছেন তিনি। যেখানে দেখা যাচ্ছে সেপ্টেম্বর মাসেই তিনটি টিকা নিয়েছেন তিনি।
প্রবীণ ব্যক্তির এই চমকপ্রদ দাবির খবর ছড়িয়ে পড়তেই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে জেলা কর্তৃপক্ষ। সিভিল সার্জন অমরেন্দ্র প্রতাপ জানিয়েছেন, যদি এই ঘটনা সত্য প্রমাণিত হয় তাহলে এর জন্য দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন