স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে আয়োজিত একটি অনুষ্ঠানে শান্তির প্রতীক হিসেবে পায়রা উড়াতে গিয়ে বিপর্যয়। পায়রাটি আকাশে ওড়ার বদলে গোত্তা খেয়ে মাটিতে পড়ে যায়। ঘটনার ভিডিও সমাজ মাধ্যমে ব্যাপকভাবে ভাইরাল হয়েছে (যদিও সেই ভিডিওর সত্যতা যাচাই করেনি পিপলস রিপোর্টার)। এরপরই এই ঘটনায় দোষীদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন জেলা পুলিশ প্রধান গিরিজা শঙ্কর জয়সওয়াল।
ছত্তিশগড়ের মুঙ্গেলিতে স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে শান্তি ও স্বাধীনতার প্রতীক হিসেবে সাদা পায়রা ওড়ানোর ব্যবস্থা করা হয়। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিজেপি বিধায়ক তথা প্রাক্তন মন্ত্রী পুন্নুলাল মোহলে মুঙ্গেলি, জেলাশাসক রাহুল দে এবং জেলা পুলিশ প্রধান গিরিজা শঙ্কর জয়সওয়াল।
ভিডিয়োতে দেখা যাচ্ছে, বিধায়ক এবং জেলাশাসকের পায়রা দু’টি উড়ে যায়। বিপত্তি বাঁধে জয়সওয়ালের পায়রা উড়ানোর সময়। তিনি পায়রা উপরের দিকে ছুড়ে দেন ঠিকই, তবে তা উড়তে না পেরে মঞ্চেই পড়ে যায়। জানা যায়, পায়রাটি অসুস্থ ছিল। যদিও পরে তাঁকে একটি অন্য পায়রা দেওয়া হয়। সেটি তিনি উড়িয়ে দেন।
এই ঘটনা পঞ্চায়েত সিজন থ্রি-র দৃশ্য় মনে করিয়ে দিচ্ছে। জনপ্রিয় ওয়েব সিরিজ ‘পঞ্চায়েত সিজন -৩’ –এ দেখা গিয়েছিল ফুলেরা গ্রামের সঙ্গে ‘শান্তি প্রস্তাব’ করতে গিয়ে পায়রা ওড়াতে চেয়েছিলেন স্থানীয় বিধায়ক। এরপর বিধায়ক ‘গো কবুতর গো’ বলে পায়রাটি ওড়াতে গেলে, সেটি আকাশে না গিয়ে মাটিতে পড়ে যায়। হাত দিয়ে অতিরিক্ত চাপ দেওয়ার কারণেই পায়রাটি উড়ার ক্ষমতা হারিয়েছিল। সিরিজের এই নির্দিষ্ট দৃশ্যটি বিশেষ জনপ্রিয়তা পেয়েছিল।
ছত্তিসগড়ের ঘটনাটিতসমাজ মাধ্যমে ব্যাপকভাবে ভাইরাল হতেই অনেকেই সেটির সাথে পঞ্চায়েত ৩-র ওই দৃশ্যের তুলনা করছেন। বিভিন্ন মজার মজার কমেন্টও আসছে ভিডিওটিতে।
এই ঘটনার পর মঙ্গলবার জেলা পুলিশ প্রধান গিরিজা শঙ্কর জয়সওয়াল জেলাশাসককে চিঠি দিয়ে পুরো বিষয়টি জানিয়েছেন। যাঁদের জন্য এমনটা ঘটেছে তাঁদের শাস্তির দাবিও জানিয়েছেন তিনি। সংবাদ মাধ্যমে তিনি জানিয়েছেন, “এই ঘটনাটি বিধায়কের হাতে ঘটলে আরও অপ্রতীকর পরিস্থিতি হত।“
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন