মত প্রকাশের স্বাধীনতা সহ গণতান্ত্রিক মূল্যবোধকে রক্ষা করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ আমেরিকা। ভারত সরকারের নির্দেশে পাঁচশোর বেশি অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেওয়ার ট্যুইটারের সিদ্ধান্তের প্রতিক্রিয়ায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে এই বার্তা দেওয়া হলো। অপরদিকে সংসদে আজ কেন্দ্রীয় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, সোশ্যাল মিডিয়ায় ভুয়ো খবর ছড়ালেই তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ট্যুইটার বনাম ভারত সরকারের 'দ্বন্দ্ব' নিয়ে মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের মুখপাত্র নেড প্রাইসের মতামত জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, "সাধারণভাবে আমি যা বলবো তা হলো, মত প্রকাশের স্বাধীনতা সহ গণতান্ত্রিক মূল্যবোধকে রক্ষা করার জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ আমরা। আমি মনে করি বিষয়টি যখন ট্যুইটারের নীতিমালা নিয়ে, তখন ট্যুইটারের ওপরেই বিষয়টি ছেড়ে দেওয়া উচিত আমাদের।"
কৃষক আন্দোলন শুরুর পর থেকে এখনও পর্যন্ত ভারত সরকারের তরফ থেকে ১৩০০-এর বেশি অ্যাকাউন্ট বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ট্যুইটারকে। কেন্দ্রের অভিযোগ, এই অ্যাকাউন্টগুলোর সঙ্গে পাকিস্তানের মদতে খালিস্তানপন্থীর যোগাযোগ রয়েছে। এমনকি এর জন্য ট্যুইটারকে "আইনি নোটিস" পাঠিয়েছে কেন্দ্র। বুধবার ট্যুইটারের পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে - ভারত সরকারের নোটিসের জবাবে পাঁচশোর বেশি অ্যাকাউন্ট বন্ধ করছে তারা। যদিও সাংবাদিকতার সাথে জড়িত ব্যক্তি, রাজনীতিক, সমাজকর্মীদের বিরুদ্ধে কোনো পদক্ষেপ করবে না বলে জানিয়েছে জনপ্রিয় এই মাইক্রো ব্লগিং সাইটটি।
ট্যুইটারের এই পদক্ষেপে আরো ক্ষুব্ধ হয়েছে সরকার। কেন্দ্রের বক্তব্য, ভারতে ব্যবসা করতে হলে ভারতের আইন মেনে চলতেই হবে। কেন্দ্র বলেছে, "কোনো সংস্থা নিজস্ব সংবিধান মেনে ব্যবসা করতেই পারে। কিন্তু ভারতের সংসদে পাশ হওয়া আইনকে পাশ কাটিয়ে যেতে পারে না তারা। দেশে ব্যবসাকারী সব সংস্থাকেই ভারতের আইন মেনে চলতে হবে। দেশের গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোকেও শ্রদ্ধা করতে হবে।" বিজেপি নেতারাও ট্যুইটার ব্যান করার দাবি তুলেছেন। গতকাল থেকে দেশে ট্রেন্ড করছে #BanTwitter হ্যাশট্যাগ।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন