'দিল্লি জয় করা নয়, আমাদের লক্ষ্য মানুষের হৃদয় জয় করা।' এই বার্তা দিয়েই তিন বিতর্কিত কৃষি আইনের বিরুদ্ধে সংযুক্ত কিষাণ মোর্চার তরফে রাজধানী সীমান্তে মঙ্গলবার ট্র্যাক্টর র্যালি করা হবে। সাধারণতন্ত্র দিবসের অনুষ্ঠান শেষের পরেই এই র্যালি হবে।
দিল্লি পুলিশের তরফে টিকরি, সিঙ্ঘু ও গাজিপুর সীমান্ত দিয়ে এই ট্র্যাক্টরগুলোকে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। এই নিয়ে কৃষক ইউনিয়নের নেতাদের তরফে একটি বিস্তারিত নির্দেশিকাও প্রকাশ করা হয়েছে বিক্ষোভকারী কৃষকদের জন্য।
মোর্চার তরফে জানানো হয়েছে, 'আমরা এক নতুন ইতিহাস গড়ার পথে চলেছি। এর আগে সাধারণতন্ত্র দিবসে এমন কোনও প্যারেড দেখেনি দেশের জনগণ। এই প্যারেডের মাধ্যমে দেশ এবং বিশ্বকে আমাদের দুর্দশার কথা বলা হবে। আমাদের দেশের তিন কৃষি আইনের সত্যিটা সকলের সামনে তুলে ধরতেই হবে। কোনওভাবেই যাতে এই ঐতিহাসিক প্যারেডের গায়ে কোনও কলঙ্ক না-লাগে সেদিকে নজর রাখতে হবে আমাদেরই। শান্তিপূর্ণভাবে এই প্যারেড করার মধ্যেই আমাদের জয় লুকিয়ে রয়েছে। কোনওরকম অপ্রীতিকর ঘটনা যাতে না ঘটে, সেদিকে নজর রেখেই পুরো বিষয়টি সম্পন্ন করা হবে।'
প্যারেড যে রুটে হবে সেটি আগে থেকেই নির্ধারিত থাকার কারণে, এই রুটে অন্য কোনও গাড়ি দেখা গেলে, তা প্যারেড বিরোধী বলে মোর্চার তরফে সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে।
গতকালই সংযুক্ত কিষাণ মোর্চার পক্ষ থেকে প্রজাতন্ত্র দিবসের ট্র্যাক্টর র্যালির জন্য বিশেষ কিছু নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। যেখানে বলা হয়েছে ২৬ তারিখের ট্র্যাক্টর র্যালিতে কোনো ট্রলি ঢোকার অনুমতি দেওয়া হবেনা। শুধুমাত্র ট্র্যাক্টর এবং অন্যান্য গাড়ি ঢুকতে পারবে। ট্রলিতে বিশেষ ট্যাবলো থাকলে তাকে অনুমতি দেওয়া হবে। অন্তত ২৪ ঘণ্টার জন্য নিজের খাবার এবং জল সঙ্গে রাখতে হবে। সঙ্গে ঠান্ডা থেকে বাঁচবার জন্য পোষাক নিতে হবে। মিছিলে অংশ নেওয়া প্রতিটি ট্র্যাক্টরে সংযুক্ত কিষাণ মোর্চার পতাকা থাকবে। একই সাথে বাধ্যতামূলকভাবে জাতীয় পতাকা লাগাতে হবে। কোনো রাজনৈতিক দলের পতাকা লাগানো যাবেনা। নিজের সঙ্গে কোনো অস্ত্র বা লাঠি রাখা যাবেনা। ট্র্যাক্টরে কোনো প্ররোচনামূলক ব্যানার লাগানো যাবেনা।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন