বঙ্গ বিজেপির পাশাপাশি দলীয় কোন্দল গুরুতর আকার নিয়েছে ত্রিপুরাতেও। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেবের বিরুদ্ধে এর আগে অনেকেই মুখ খুলেছিলেন। এবার বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করলেন চারজন বিধায়ক। ফলে ত্রিপুরা বিজেপির দ্বন্দ্ব আরও একবার প্রকাশ্যে এল।
আগামী বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির হয়ে তিনি আর প্রতিযোগিতা করবেন না বলে জানিয়ে দিয়েছিলেন বিধায়ক সুদীপ রায় বর্মন। তিনি দল ছাড়বেন, সেরকমও তো শোনা গিয়েছিল। এবার তিনি ও আশিস সাহা, দিবাচন্দ্র রাংখল, বুর্বমোহন ত্রিপুরার মতো বিধায়করা সরাসরি সরকারের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করলেন। ইতিমধ্যে ত্রিপুরার প্রায় সব জেলাতেই সরকারের বিরুদ্ধে বৈঠক শুরু করে দিয়েছেন।
বিধায়কদের দল ছাড়ার প্রস্তুতিও প্রায় শেষ। যদি এই জল্পনা সত্যি হয়, তাহলে ত্রিপুরা সরকার টিকিয়ে রাখার ক্ষেত্রে গেরুয়া শিবিরকে ভরসা করতে হবে শরিক দলগুলোর উপর। আগামী বছরের বিধানসভা নির্বাচনে ত্রিপুরায় নিজেদের নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে ক্ষমতায় থাকলে যে রকম দাপট দেখানো সম্ভব হয়, শরিক দলের উপর নির্ভর করে তা হয় না। তা রাজনৈতিক মহলের প্রত্যেকে জানেন। ফলে আগামী নির্বাচনে বিজেপিকে বেশ কঠিন অবস্থা থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে হবে, তা বলাই বাহুল্য।
বিধায়ক সুদীপ রায়বর্মন আগেও মুখ্যমন্ত্রীকে নিশানা করেছিলেন। এবার অভিযোগ করলেন, রাজ্য সরকার সব দিক দিয়ে ব্যর্থ হয়েছে। রাজ্যের আইনশৃঙ্খলার অবনতি হয়েছে। রাজ্যে নতুন করে অক্সিজেন প্রয়োজন। রাজ্যে কোনও উন্নয়নই হয়নি। তাঁর বক্তব্যে অশনিসংকেত দেখছে ত্রিপুরার বিজেপি নেতৃত্ব ।
উল্লেখ্য, ত্রিপুরাতেও বিজেপির অন্দরে আদি-নব্যের জোর তরজা শুরু হয়েছে। এই চার বিধায়কদের দল ছাড়ার প্রস্তুতি সম্পন্ন। শোনা যায় তাঁদের সঙ্গে রাজ্য বিজেপির আদি গোষ্ঠীর একাধিক নেতা যোগাযোগ রাখছেন বলে প্রাক্তন স্বাস্থ্যমন্ত্রী সুদীপের দাবি। এই চার বিজেপি বিধায়ক গেরুয়া শিবির ছাড়লে বিজেপিকে নির্ভর করতে হবে শরিক আইপিএফটির উপর। ইতিমধ্যে বিজেপির আরও এক বিধায়ক আশিস দাসের বিধায়ক পদ খারিজ হয়েছে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন