ত্রিপুরায় পঞ্চায়েত নির্বাচনে ৭০ শতাংশের বেশি আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হলেন বিজেপি প্রার্থীরা। সোমবার মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিনে রাজ্যের গ্রাম পঞ্চায়েতে ২৪০টি, পঞ্চায়েত সমিতিতে ৫০টি এবং জেলা পরিষদে ১৮টি মনোনয়ন পত্র প্রত্যাহারের পর এই তথ্য জানা গেছে। ২০১৯ সালের ত্রিপুরা পঞ্চায়েত নির্বাচনে গ্রাম পঞ্চায়েতের ৮৬ শতাংশ আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছিলেন বিজেপি প্রার্থীরা। আগামী ৮ আগস্ট ত্রিপুরার পঞ্চায়েত নির্বাচন এবং ভোট গণনা হবে আগামী ১২ আগস্ট।
সর্বশেষ প্রকাশিত তথ্য অনুসারে ত্রিপুরার গ্রাম পঞ্চায়তের মোট ৬,৩৭০ আসনের মধ্যে ভোট হবে ১,৮১৯ আসনে। পঞ্চায়েত সমিতির ৪২৩ আসনের মধ্যে ভোট হবে ১৮৮ আসনে এবং জেলা পরিষদের ১১৬ আসনের মধ্যে ভোট হবে ৯৬ আসনে। রাজ্যের এই ত্রিস্তর পঞ্চায়েত নির্বাচনে এখন লড়াইয়ের ময়দানে আছেন মোট ৪,৭৬১ জন।
জানা গেছে গ্রাম পঞ্চায়েতের ৬,৩৭০ আসনের মধ্যে ৪,৫৫০ আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হয়েছে বিজেপি। পঞ্চায়েত সমিতিতে ২৩৫ এবং জেলা পরিষদের ২০ আসনেও বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় প্রতিনিধিরা নির্বাচিত হয়েছেন।
তথ্য অনুযায়ী এবার গ্রাম পঞ্চায়েতের ৩০ শতাংশ আসনে, পঞ্চায়েত সমিতির ৪২ শতাংশ আসনে এবং জেলা পরিষদের ৮৩ শতাংশ আসনে ভোটগ্রহণ হবে। রাজ্যের ত্রিস্তর পঞ্চায়েত নির্বাচনে মোট ৬,৯০৯ আসনের মধ্যে ভোট হবে ২,১০৩ আসনে।
এবারের নির্বাচনে অধিকাংশ আসনেই প্রার্থী দিতে পারেনি সিপিআইএম এবং কংগ্রেস। মনোনয়ন পর্ব চলাকালীনই দুষ্কৃতীদের আক্রমণে নিহত হন দক্ষিণ ত্রিপুরা জেলা পরিষদের সিপিআইএম প্রার্থী বাদল শীল। এই বিষয়ে সিপিআইএম-এর অভিযোগ, পরিকল্পিতভাবে সন্ত্রাস করে তাদের দলীয় কর্মীকে খুন করেছে বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। সিপিআইএম-এর পক্ষ থেকে আরও জানানো হয়েছে, “মনোনয়ন পত্র প্রত্যাহার করাতে বাম প্রার্থীদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরা হুমকি দিয়েছে।
কংগ্রেসের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, রাজ্যের আটটি জেলাতেই বিরোধীদের মনোনয়ন জমা দিতে বাধা দেওয়া হয়েছে। তারই ফলে বিজেপি এত বেশি আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন