ত্রিপুরার পুরনির্বাচনে অবাধ সন্ত্রাস ও দেদার ছাপ্পা ভোট হয়েছে বলে অভিযোগ বিরোধীদের। আগরতলার সবকটি ওয়ার্ডে পুনঃনির্বাচনের দাবি তুলেছে সিপিআইএম। অভিযোগ, মানুষকে ভোট দিতে দেয়নি বিজেপি, ইচ্ছামতো রিগিং করেছে। ত্রিপুরা সিপিআইএমর রাজ্য সম্পাদক জিতেন্দ্র চৌধুরী বলেন – “বিজেপি, ত্রিপুরা সরকারের আধিকারিক ও নির্বাচন কমিশন মিলে ত্রিপুরার পুরনির্বাচনকে প্রহসনে পরিনত করেছে। দিন দুপুরে গনতন্ত্রের অমাবস্যা নামিয়ে এনেছে।”
প্রসঙ্গত, আগরতলা পুরনিগম সহ ত্রিপুরার মোট ১৩ টি পুর অঞ্চলের ৬৪৪টি বুথে ভোট গ্রহণ হয়েছে। এরমধ্যে আগরতলার সবকটি ভোট গ্রহণ কেন্দ্রকেই স্পর্শকাতর হিসাবে ঘোষণা করেছিল কমিশন। ভোট চলাকালীন ভুরি ভুরি অভিযোগ আসতে শুরু করে। পুরভোট চলাকালীন রাজ্যে আরও বাহিনী পাঠানোর নজিরবিহীন নির্দেশ দেয় সুপ্রিম কোর্ট। বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়, বিচারপতি সূর্যকান্ত এবং বিচারপতি বিক্রম নাথের বেঞ্চ এদিন এই নির্দেশ দেয়। এদিন শীর্ষ আদালতে সিপিআই(এম)-এর পক্ষে আইনজীবী পি ভি সুরেন্দ্রনাথ ত্রিপুরায় সন্ত্রাসের ছবি তুলে ধরেন।
পুরভোটের দিন ঘোষণার পর থেকেই সন্ত্রাস ছড়ানোর অভিযোগ উঠছে ক্ষমতাসীন বিজেপির বিরুদ্ধে। ৩৪ শতাংশ আসনে প্রার্থীই দিতে পারেনি বিরোধীরা। একাধিক বিরোধী প্রার্থী এবং তাঁদের আত্মীয়দের ওপর হামলা হয়েছে, বাড়িতে হামলারও অভিযোগ উঠেছে। ইতিমধ্যে দু'বার অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করার জন্য ত্রিপুরা সরকারকে নির্দেশ দিইয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট।
কিন্তু শীর্ষ আদালতের নির্দেশই সার। বিরোধীদের অভিযোগ, গতকাল রাত থেকেই পুর এলাকাগুলিতে মাস্ক ও হেলমেট পরা দুষ্কৃতীরা বাইক নিয়ে টহল দিচ্ছিল। বিরোধী সমর্থকদের পরিণতি ভয়ঙ্কর হবে বলে ভয় দেখানো হচ্ছে। অধিকাংশ বুথে তাদের পোলিং এজেন্টকে বসতে দেওয়া হয়নি।
এমনকি, বিজেপি বিধায়ক সুদীপ রায় বর্মণ বলেন – “ভয় দেখিয়ে ভোট না করলেও পারতেন মুখ্যমন্ত্রী। নেতৃত্বের শিশুসুলভ আচরণের জন্য দলের বদনাম হচ্ছে। মানুষের অভিশাপ কুড়োতে হচ্ছে।” উল্লেখ্য, ত্রিপুরাতে সুদীপ রায় বর্মন ও বিপ্লব দেবের বিরোধ এখন চরমে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন