Tripura: লাগাতার বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত ত্রিপুরা, মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২২, আরও ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস

People's Reporter: বৃষ্টির কারণে ঘরছাড়া প্রায় ৬৫ হাজার ৪০০ মানুষ আশ্রয় নিয়েছে ত্রাণ শিবিরে। সরকারি পরিসংখ্যাণ অনুযায়ী, বন্যার কারণে গোটা রাজ্য জুড়ে ১৭ লক্ষ মানুষ বিপর্যস্ত।
ত্রিপুরার বন্যা পরিস্থিতি
ত্রিপুরার বন্যা পরিস্থিতিছবি - সংগৃহীত
Published on

গত কয়েকদিনে প্রবল বৃষ্টির ফলে বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে ত্রিপুরায়। এক টানা বৃষ্টির ফলে বার বার ধস নামছে ত্রিপুরায়। যার ফলে গত চার দিনে মৃত্যু হয়েছে অন্তত ২২ জনের। নিখোঁজ একাধিক বলে জানা গেছে। আপাতত এই বৃষ্টি কমার লক্ষণ নেই বলেই জানিয়েছে মৌসম ভবন। আগামী কয়েকদিনে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির সতর্কতা জারি করেছে আবহাওয়া দপ্তর।

জানা যাচ্ছে, গোটা রাজ্য জুড়ে প্রায় ৪৫০ টিরও বেশী ত্রাণশিবির গড়ে তোলা হয়েছে। বৃষ্টির কারণে ঘরছাড়া প্রায় ৬৫ হাজার ৪০০ মানুষ আশ্রয় নিয়েছেন ত্রাণ শিবিরে। সরকারি পরিসংখ্যান অনুযায়ী, বন্যার কারণে গোটা রাজ্য জুড়ে ১৭ লক্ষ মানুষ বিপর্যস্ত।

অন্যদিকে, ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা ফেসবুকে একটি পোষ্টের মাধ্যমে জানান, সন্তিরবাজারের অশ্বনী ত্রিপুরা পাড়া এবং দেবীপুরে ভূমিধসের পর ধ্বংসস্তূপের নীচে অন্তত ১০ জন মানুষ চাপা পড়েছে। সরকারের পক্ষ থেকে ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য ৪ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী।

এর আগে ত্রিপুরার রাজস্ব বিভাগের সচিব ব্রিজেশ পান্ডে জানিয়েছিলেন উত্তর-পূর্ব রাজ্যে ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে ১২ জনের মৃত্যু হয়েছে। এবং দু’জন নিখোঁজ। তিনি আরও জানিয়েছেন, গ্রামের পর গ্রাম ভেসে গিয়েছে। বিঘা বিঘা চাষের জমি জলের নীচে। যার ফলে ফসলের ক্ষতি হয়েছে।

এছাড়াও, আরও জানা যাচ্ছে গত চারদিনের প্রবল বৃষ্টির ফলে রাজ্যের ২,০৩২ টি জায়গায় ধস নেমেছে। যার মধ্যে ১,৭৮৯ টি জায়গা পুনরুদ্ধার করা হয়েছে। বাকি গুলো পুনরুদ্ধারের কাজ চলছে। অন্যদিকে, রাজ্যের প্রায় ১,৯৫২ রাস্তা ভাঙার খবর মিলেছে।

গোমতি এবং দক্ষিণ ত্রিপুরা জেলায় আটকে পড়া মানুষদের উদ্ধারের জন্য কেন্দ্র দু’টি হেলিকপ্টার দিয়েছে। আসাম রাইফেলস এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, রাজ্য জুড়ে ৭৫০ জনেরও বেশি মানুষকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। “আসাম রাইফেলসের রাইফেল মহিলারা ত্রিপুরায় ত্রাণ ও উদ্ধার অভিযানের নেতৃত্ব দিচ্ছেন। পূর্ব কাঞ্চনবাড়ি, কুমারঘাট, উনাকোটি জেলা, গোমতি জেলার অমরপুর, বিশালগড়, সেপাহিজলা এবং ত্রিপুরা পশ্চিম সহ রাজ্যের বিভিন্ন অংশে চারটি উদ্ধার কলাম চালু করা হয়েছিল।“

বন্যার কারণে রাজ্যে ট্রেন পরিষেবা আপাতত বন্ধ। বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে সমস্ত স্কুল, কলেজ। এই পরিস্থিতিতে আশার কথা শোনাতে পারছে না মৌসম ভবন। শুক্রবারও ভারী বৃষ্টি হয়েছে একাধিক জেলায়। 

স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in