শিক্ষার ক্ষেত্রে বয়স শুধুমাত্র একটা সংখ্যামাত্র। বয়স যে কিছুর মাপকাঠি হতে পারেনা তা আরও একবার প্রমাণ করলেন ত্রিপুরার শিলা রানি দাস। বুধবার (৬ই জুলাই), শিলা তাঁর দুই মেয়ের সাথে ‘ত্রিপুরা বোর্ড অফ সেকেন্ডারি এডুকেশন’-এর পরীক্ষায় পাস করেন।
অল্প বয়সেই বিয়ে হয়ে যায় শিলার। তারপর সংসারের চাপে আর পড়াশোনা এগিয়ে নিয়ে যেতে পারেননি তিনি। দুই মেয়ের জন্মের পরই শিলাদেবীর স্বামী মারা যান। দুই মেয়েকে একা হাতে পড়াশোনা করিয়ে শিক্ষিতা করে তোলেন। তাঁর দুই মেয়ে এবছর উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছিলেন। বলাইবাহুল্য, মেয়েদের সাথে ৫৩ বছরের শিলাদেবীও দশম শ্রেণির পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন।
শিলাদেবী, একটি সর্বভারতীয় সংবাদ সংস্থাকে জানিয়েছেন, “আমি খুব খুশি এই পরীক্ষায় পাস করতে পেরে। মেয়েরাই আমাকে সাহস ও আত্মবিশ্বাস জুগিয়েছে।”
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, শিলাদেবী আগরতলার অভয়নগর স্মৃতি বিদ্যালয় থেকে দশম শ্রেণির পরীক্ষা দেন ও তাঁর মেয়ে জয়শ্রী দ্বাদশ শ্রেণির পরীক্ষা দেন আগরতলার বানী বিদ্যাপীঠ বিদ্যালয় থেকে। এই বিষয়ে জয়শ্রী একটি সংবাদ সংস্থাকে বলেছেন, “আমরা খুব খুশি যে আমাদের মা দশম শ্রেণির পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছে ও আমরা দ্বাদশ শ্রেণির পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছি। আমরা পরীক্ষার আগে তিনজন মিলে একসাথে প্রস্তুতি নিয়েছি।”
মা এবং দুই মেয়ের বোর্ডের পরীক্ষায় পাশ করার ঘটনা ‘ত্রিপুরা বোর্ড অফ সেকেন্ডারি এডুকেশন’-এর বিরাট সাফল্য। মেয়েদের সাথে নিয়ে এক সঙ্গে পড়াশোনা করতেন শিলাদেবী। তিনজন একসাথে পরীক্ষার প্রস্তুতি নিয়ে পাশ করার পর প্রশংসায় ভরিয়ে দিয়েছেন নেটিজনেরা।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন