অবশেষে জল্পনার অবসান। বিজেপি ছাড়লেন ত্রিপুরার বিজেপি বিধায়ক সুদীপ রায় বর্মণ। জল্পনা সত্যি করে তাঁরই সঙ্গে গেরুয়া শিবির ছাড়লেন আশিস কুমার সাহাও। দুজনেই বিধানসভায় গিয়ে বিধায়ক পদে ইস্তফা দেন। তাঁরা দু'জনেই আজ গুয়াহাটি থেকে দিল্লির উদ্দেশে উড়ে যাবেন। তবে তাঁরা কোন দলে ফের যোগ দিচ্ছেন, বা পরবর্তী পদক্ষেপ কী হতে চলেছে, তা নিয়ে জল্পনার পারদ চড়ছে।
কয়েকদিন আগে কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে গোপন বৈঠক করেন সুদীপ রায় বর্মণ। সূত্রের খবর, বিক্ষুব্ধরা নয়াদিল্লিতে কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে দেখা করে ১০ ফেব্রুয়ারি দলে যোগ দেবেন। ১২ ফেব্রুয়ারি ত্রিপুরায় ফিরবেন।
প্রসঙ্গত, বঙ্গ বিজেপির মতো ত্রিপুরাতেও বিক্ষুব্ধদের সংখ্যা ক্রমশ বাড়ছে। বিজেপি বিধায়করা প্রকাশ্যে ত্রিপুরা সরকারের সমালোচনা করতে শুরু করেন। বিক্ষুব্ধরা ফের কংগ্রেস যোগ দিতে পারেন, রাজনৈতিক মহলে এমনটাই শোনা যাচ্ছে। মনে করা হচ্ছে, সুদীপ ও আশিসের পথে হাঁটতে চলেছেন বহু বিজেপি বিধায়কই। জল্পনা, সেই তালিকায় নাম রয়েছে দিবাচন্দ্র রাংখল, বুর্বমোহনের।
গত কয়েকদিন ধরেই সুদীপ ও তাঁর অনুগামীরা ত্রিপুরা রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় গিয়ে বিশিষ্টদের সঙ্গে দেখা করেন। ত্রিপুরার বিজেপির মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেবের সঙ্গে তাঁর দূরত্বের কথা সবাই জানেন। গত লোকসভা ভোটের পর তাঁর মন্ত্রিত্ব কেড়ে নেওয়া হয়। গেরুয়া শিবিরে কার্যত একঘরে হয়ে গিয়েছিলেন সুদীপবাবু।
তাঁর অনুগামীরা একটি রক্তদান শিবির আয়োজন করেছিলেন বেশ কয়েকদিন আগে। সেই শিবির ভেঙে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে বিজেপির আর একটি অংশের বিরুদ্ধে। এরপরে ক্ষোভে ফেটে পড়েন তিনি। সেই সময় তিনি সাফ জানিয়েও দিয়েছিলেন, বিজেপির টিকিটে বিধানসভা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন না। বিজেপির প্রতি তাঁর আগ্রহ শেষ।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন