সরকারের মেয়াদ যত কমে আসছে তত বেশি বেশি করে ওরা বিচ্ছিন্ন হচ্ছে। বিচ্ছিন্নতার কারণ হচ্ছে নন পারফরম্যান্স। জনগণের মধ্যে যাঁদের ভিত্তি আছে তাঁরা এরকম করেনা। মানুষকে এভাবে দমানো যাবেনা। ওদের দেওয়ালে পিঠ থেকে গেছে। মানুষ প্রতিদিন ঘর থেকে বেরিয়ে আসছেন। বুধবার দলীয় কার্যালয়ে হামলার পর আগরতলায় এক সাংবাদিক সম্মেলনে একথা জানিয়েছেন ত্রিপুরার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা সিপিআইএম নেতা মাণিক সরকার।
এদিন তিনি বলেন, এ অভিজ্ঞতা আমাদের আগেও হয়েছে। কংগ্রেস আমলে আমরা বলতাম আধা ফ্যাসিস্ট সন্ত্রাস। আর এখন বলছি ফ্যাসিস্ট সুলভ আচরণ। আমরা মানুষের সঙ্গে আছি, থাকবো। মানুষই আমাদের শক্তির উৎস। তাঁরাই পথ দেখাচ্ছেন। তাঁদের সঙ্গে নিয়েই সংগ্রাম চলবে। আমরা মানুষকে বলবো বহিঃপ্রকাশ যাতে সংগঠিত ভাবে ঘটে তার চেষ্টা করতে হবে। ওদের প্ররোচনায় পা দেওয়া যাবেনা। এঁরা চাইছে সন্ত্রাসের মধ্যে আটকে রেখে আন্দোলন বন্ধ করতে। এঁরা মানুষের সংগ্রামকে ভয় পাচ্ছে। যে রাজনৈতিক দল নেতিবাচক পথ অবলম্বন করে এগোতে চায় তারা বেশিদূর এগোতে পারেনা।
এদিন আগরতলায় সিপিআইএম রাজ্য অফিসে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে বিজেপির বিরুদ্ধে। দপ্তরের বাইরে থাকা বেশ কয়েকটি গাড়িতেও আগুন লাগানো হয়েছে। এছাড়াও রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় আরো একাধিক দলীয় পার্টি অফিসে বিজেপি হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ সিপিআইএমের। ভাঙচুর করা হয়েছে দলীয় মুখপত্র ডেইলী দেশের কথা দপ্তরেও।
সিপিআইএমের পক্ষ থেকে এই হামলার একাধিক ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করা হয়েছে। ট্যুইটে সিপিআইএম লিখেছে, "নিচের ভিডিওগুলিতে দেখা যাচ্ছে, বিজেপির উত্তেজিত সমর্থক কিভাবে আগরতলায় রাজ্যের দলীয় কার্যালয়ে হামলা চালিয়েছে। রাজ্যের মানুষ যে আওয়াজ তুলছে, তাতে বিজেপি ভয় পেয়েছে। তাই এইভাবে সন্ত্রাসের আশ্রয় নিতে হচ্ছে তাদের।"
সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করা ভিডিওগুলিতে দেখা যাচ্ছে, আগরতলায় সিপিআইএমের রাজ্য অফিসের ভেতর থেকে প্রচুর ধোঁয়া বেরাচ্ছে। ভবনের ভেতরে থাকা একটি গাড়ি দাউদাউ করে জ্বলছে।
আর একটি ভিডিও যেটা ভবনের ভেতর থেকে রেকর্ড করা হয়েছে, সেখানে দেখা যাচ্ছে গেরুয়া-সবুজ পতাকা হাতে উত্তেজিত কিছু জনতা ভবনের সামনে পরপর দাঁড়িয়ে থাকা গাড়িগুলো ভাঙচুর করছে। বিশালগড়, কাঠালিয়ার জেলা সিপিআইএম পার্টি অফিস আগুনে পুড়ে গেছে।
গতকাল ধনপুরের ঘটনার প্রতিবাদে আজ আগরতলায় বিক্ষোভ মিছিল করে বিজেপি। এরপরই একাধিক সিপিআইএম পার্টি অফিসে হামলা চালানোর ঘটনা ঘটে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন