কয়েকদিন নিখোঁজ থাকার পর ত্রিপুরায় উদ্ধার হল আরও এক যুবকের বিকৃত দেহ। গত দু’সপ্তাহ আগে পশ্চিম ত্রিপুরায় এক গণপিটুনির ঘটনায় তিন জনের মৃত্যুর দিন থেকে তাঁদের সঙ্গী এই যুবক নিখোঁজ ছিলেন।
পুলিশ জানিয়েছেন, ওই ঘটনায় এক অভিযুক্ত, পেশায় অটোচালক দিনু কুমার দেববর্মার বয়ানের ওপর ভিত্তি করে চতুর্থ যুবকের দেহ উদ্ধার করা হয়েছে। নিহত ১৯ বছর বয়সী চতুর্থ যুবকের নাম সেলিম মিয়াঁ। শনিবার রাতের দিকে তাঁর দেহ উদ্ধার করা হয়েছে কল্যাণপুর পুলিশ থানা সংলগ্ন আশ্রম কোবরা পাড়া থেকে।
গণপিটুনির ওই ঘটনায় দিনু দেববর্মা ছাড়াও গ্রেপ্তার করা হয়েছে আরও দুই ব্যক্তিকে। গত ২০ জুন পশ্চিম ত্রিপুরার খোয়াই জেলায় গোরু চোর সন্দেহে চার যুবককে আটক করে স্থানীয় মানুষ। এরপরেই শুরু হয় গণপিটুনি।
খোয়াই জেলার ডিএসপি কিরণ কুমার ওই ঘটনা সম্পর্কে জানিয়েছিলেন, নিহতদের বিরুদ্ধে পাঁচটি গোরু চুরির অভিযোগ ছিলো। তাঁরা গোরু চুরি করে পালানোর সময় গ্রামের মানুষের হাতে ধরা পড়ে। ওই ঘটনায় মৃত্যু হয় জায়েদ হোসেন (২৮), বিলাল মিয়াঁ (৩০), সাইফুল ইসলাম (২৮)-এর। এঁরা প্রত্যেকেই এলাকার সিপাহীজোলার জেলার বাসিন্দা। এই ঘটনায় তীব্র নিন্দা করেছিলেন রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী, সিপিআই(এম) নেতা মাণিক সরকার। ঘটনার নিন্দা করেছিলেন টিপরা মোথা-র নেতা প্রদ্যুৎ বিক্রম মাণিক্য দেব বর্মণ।
এক বিবৃতিতে তিনি জানান, এইভাবে তিনজন মানুষের মৃত্যু মেনে নেওয়া যায়না। যদি তাঁরা সত্যিই অপরাধী হন, সেক্ষেত্রে পুলিশের দায়িত্ব তাঁদের গ্রেপ্তার করার এবং সাজা দেওয়ার। জনগণের কোনো অধিকার নেই এভাবে তাঁদের পিটিয়ে হত্যা করার।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন