দুর্গাপুজোর সময় বাংলাদেশের কুমিল্লায় সংখ্যালঘুদের ওপর হিংসার আঁচ পৌঁছায় ত্রিপুরায়। সংখ্যালঘু মুসলিমদের ওপর হামলার অভিযোগ ওঠে। সংসদে ত্রিপুরার সেই ঘটনার প্রসঙ্গ উঠতেই কেন্দ্র জানিয়ে দিল, ত্রিপুরা সরকার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে পদক্ষেপ করেছে।
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী নিত্যানন্দ রাই জানান, সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে গুজব ও ঘৃণামূলক বক্তব্য ছড়ানোর জন্য নির্দিষ্ট কোনও গোষ্ঠীকে চিহ্নিত করা হয়নি। কিন্তু সোশ্যাল মিডিয়ায় গুজব, সাম্প্রদায়িক বিদ্বেষমূলক পোস্টের ক্ষেত্রে ৬টি মামলা করা হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করেছে ত্রিপুরা সরকার। পিকেটিং চলছে। ধর্মীয় স্থানে নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। গত কয়েক সপ্তাহে রাজ্যে এই ঘটনার জন্য ১৫টি মামলা নথিভুক্ত করা হয়েছে।‘ তাঁর দাবি - 'ত্রিপুরা সরকার জানিয়েছে যে সম্পত্তির ক্ষতির কিছু বিক্ষিপ্ত ঘটনা ঘটেছে।'
ত্রিপুরার গোমতী জেলায় মসজিদ ভাঙচুর করা হয় বলে অভিযোগ ওঠে। সেই প্রসঙ্গে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক জানায়, ত্রিপুরার গোমতী জেলায় মসজিদ ভাঙচুর নিয়ে ভুয়ো ও বিকৃত খবর পেশ করা হয়েছে। সাম্প্রতিক অতীতে ত্রিপুরায় মসজিদ ভাঙচুরের কোনও রিপোর্ট আসেনি। সোশ্যাল মিডিয়ায় যে অভিযোগ করা হচ্ছিল, সেরকম ভয়াবহ আঘাতের ঘটনা ঘটেনি।
প্রসঙ্গত, ত্রিপুরায় যেসব হিংসার ঘটনা ঘটেছে, তা তদন্ত করতে গিয়েছিলেন সুপ্রিম কোর্টের দুই আইনজীবী। তাঁদের বিরুদ্ধে ইউএপিএ (UAPA) ধারা প্রয়োগ করেছে ত্রিপুরা সরকার। পিপলস ইউনিয়ন অফ সিভিল লিবার্টিজের সদস্য মানবাধিকার বিষয়ক আইনজীবী মুকেশ এবং ন্যাশনাল কনফেডারেশনের সদস্য আইনজীবী আনসার ইন্দোরিকে নোটিশ পাঠিয়েছে পশ্চিম আগরতলা থানা।
'হিউম্যানিটি আন্ডার অ্যাটাক ইন ত্রিপুরা' শীর্ষক শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে এই দুই আইনজীবী সম্প্রতি সাংবাদিক সম্মেলন ফেসবুক লাইভ করেন। এই প্রতিবেদন অনুযায়ী ত্রিপুরায় ১২টি মসজিদ, ৯টি দোকান ও তিনজন মুসলিম সম্প্রদায়ের বাসিন্দার বাড়িতে আক্রমণের কথা উল্লেখ করা হয়েছিল।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন