সূত্রের খবর অনুসারে ভারতের নতুন আইটি আইন অনুসারে নিয়োগের একদিন পরেই ইস্তফা দিলেন ট্যুইটারের ইন্টিরিম রেসিডেন্ট গ্রিভেন্স অফিসার ধর্মেন্দ্র চতুর। আমেরিকায় সদরদপ্তরযুক্ত মাইক্রো ব্লগিং প্ল্যাটফর্মের ওয়েবসাইটে তাঁর নাম দেখা যাচ্ছে না। ভারতের নতুন আইন ইনফরমেশন টেকনোলজি (ইন্টারমিডিয়ারি গাইডলাইন্স অ্যান্ড ডিজিটাল মিডিয়া এথিক্স কোড) রুলস ২০২১ অনুসারে যা বাধ্যতামূলক। যদিও এই বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে অস্বীকার করেছে ট্যুইটার।
ট্যুইটারের ওয়েবসাইটে ভারতীয়দের জন্য গ্রিভেন্স অফিসারের যোগাযোগের জন্য এখন দেওয়া আছে জেরেমি কেসেলের নাম, যিনি সানফ্রান্সিসকোর।
ভারতে ডিজিটাল মিডিয়া সংক্রান্ত নতুন আইন আসার পরে এই মুহূর্তে মাইক্রো ব্লগিং সাইট ট্যুইটার যথেষ্ট চাপে আছে। ইতিমধ্যেই ভারত সরকারের পক্ষ থেকে নতুন এই আইন ঘিরে সমালোচিত হয়েছে ট্যুইটার এবং সরকারের পক্ষ থেকে তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেবারও সতর্কবার্তা দেওয়া হয়েছিলো।
গত শুক্রবার কেন্দ্রীয় তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ অভিযোগ করেন প্রায় এক ঘণ্টা তিনি ট্যুইটার ব্যবহার করতে পারেননি। জানা গেছে আমেরিকান ডিজিটাল মিলেনিয়াম কপিরাইট লঙ্ঘনের দায়ে এই ঘটনা ঘটেছিলো। এই ঘটনাকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী আইটি গাইডলাইনের লঙ্ঘন বলে মন্তব্য করেছিলেন।
অন্যদিকে, টুইটার নতুন মধ্যস্থতাকারী নির্দেশিকা না মানার কারণে ভারতে মধ্যস্থতাকারী প্ল্যাটফর্মের অবস্থান হারিয়েছে। যার ফলে পোস্টের উপর মামলা সংক্রান্ত বিষয়ে সংস্থাটি দেশে আইনী ঢাল হারিয়েছে। মাইক্রো-ব্লগিং প্ল্যাটফর্মটি সম্প্রতি বলেছে যে নতুন নিয়ম অনুযায়ী এটি একটি অন্তর্বর্তীকালীন চিফ কমপ্লায়েন্স অফিসার নিয়োগ করেছে এবং এর বিশদ শীঘ্রই সরাসরি তথ্য মন্ত্রকের সাথে শেয়ার করা হবে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন