দেশের রাজনীতিতে পক্ষ নিচ্ছে ট্যুইটার। শুক্রবার এক ভিডিও বার্তায় তাঁর ট্যুইটার হ্যান্ডেল বন্ধ করার প্রতিবাদ জানিয়ে একথা বলেছেন কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী। ওই ভিডিও বার্তায় তিনি বলেন – আমার ট্যুইটার অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে আমাদের রাজনৈতিক প্রক্রিয়ায় হস্তক্ষেপ করছে ট্যুইটার।
এদিনের ভিডিও বার্তায় রাহুল গান্ধী জানিয়েছেন, আমাদের রাজনীতি ব্যবহার এক কোম্পানী তার ব্যবসা চালাচ্ছে। একজন রাজনীতিবিদ হিসেবে আমি এটা পছন্দ করছি না। এই ঘটনা রাহুল গান্ধির ওপর কোনো আক্রমণের ঘটনা নয়। এই ঘটনা দেশের গণতান্ত্রিক কাঠামোর ওপর হস্তক্ষেপ। তিনি জানিয়েছেন, ট্যুইটারে তাঁর ফলোয়ারের সংখ্যা প্রায় ১৯-২০ মিলিয়ন এবং তাঁরা তাঁদের মত প্রকাশের স্বাধীনতা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।
এই ঘটনাকে ‘অনৈতিক’ বলে চিহ্নিত করে তিনি জানান – এই ঘটনার মাধ্যমে ট্যুইটার নিজেদের নিরপেক্ষ মাধ্যম হিসেবে যে প্রচার করে তা ভঙ্গ হচ্ছে এবং বিনিয়োগকারীদের জন্য এটি একটি খুব বিপজ্জনক বিষয়। কারণ রাজনৈতিক বিষয়ে পক্ষ নেওয়ার ফলে টুইটারের প্রতিক্রিয়া হচ্ছে।
রাহুল গান্ধীর অভিযোগ, দেশের গণতন্ত্র আক্রমণের মুখে। বিরোধীদের সংসদে মুখ খুলতে দেওয়া হচ্ছেনা। মিডিয়াকে নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে। আমরা ট্যুইটার সম্পর্কে যা ভাবি সেই বিষয়েও চিন্তাভাবনা করা উচিত। ট্যুইটার নিজেই প্রমাণ করছে যে আসলে তারা নিরপেক্ষ নয়, উদ্দেশ্যমূলক প্ল্যাটফর্ম। পক্ষপাতদুষ্ট প্ল্যাটফর্ম। সরকার যা বলে এরা সেইমতই চলে।
রাহুল গান্ধী বলেন - "ভারতীয় হিসাবে, আমাদের প্রশ্ন করতে হবে: আমরা কি এইসব কোম্পানিগুলিকে অনুমতি দিচ্ছি কারণ তারা আমাদের জন্য আমাদের রাজনীতির সংজ্ঞা দেওয়ার জন্য ভারত সরকারকে দেখছে? এটা কি এমনই হতে চলেছে? অথবা আমরা আমাদের নিজস্ব রাজনীতি সংজ্ঞায়িত করতে যাচ্ছি? এখানেই আসল প্রশ্ন।"
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি রাহুল গান্ধী সহ বহু কংগ্রেস নেতার ট্যুইটার হ্যান্ডেল ব্লক করে ট্যুইটার কর্তৃপক্ষ। ট্যুইটারের বক্তব্য, কংগ্রেস নেতৃত্ব ট্যুইটারের নিয়ম ভঙ্গ করেছেন। যদিও কংগ্রেসের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ট্যুইটার ভারত সরকারের পক্ষ নিয়ে এই কাজ করেছে।
- with inputs from IANS
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন