চরম অর্থ-সংকটে ট্যুইটার। সংস্থার খরচ কমাতে ভারতে ৩টি অফিসের মধ্যে ২টি বন্ধ করে দিয়েছে এলন মাস্কের মালিকানাধীন সংস্থা।
সূত্রের খবর, রাজধানী দিল্লি ও বাণিজ্যনগরী মুম্বইয়ের অফিসে তালা ঝোলানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে ট্যুইটার। একইসঙ্গে, সেখানকার কর্মীদের আপাতত বাড়ি থেকেই কাজ (Work from Home) চালিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
জানা যাচ্ছে, গত বছর ভারতে প্রায় ২০০-র বেশি কর্মী (৯০%) ছাঁটাই করেছে ট্যুইটার। সেই রেশ না কাটতেই এবার অফিস বন্ধের খবর সামনে এলো। ফলে, আগামীতে আরও কর্মী ছাঁটাইয়ে আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
ট্যুইটার সূত্রের খবর, আপাতত বেঙ্গালুরুর অফিসে যাবতীয় কাজ চলবে। ভারতে ট্যুইটারের প্রযুক্তিগত দিকটি মূলত এই অফিস থেকেই পরিচালিত হয়। বেঙ্গালুরুর অফিসে কাজ করেন সংস্থার প্রযুক্তিকৌশলীরা।
২০২২ সালের ২৮ অক্টোবর, ৪৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের বিনিময়ে ট্যুইটার অধিগ্রহণ করেন মার্কিন ধনকুবের এলন মাস্ক। তারপরেই বিতর্কে জড়ান তিনি। ট্যুইটারের সিইও পরাগ আগরওয়াল (CEO Parag Agrawal) ও সংস্থার চিফ ফিনান্সিয়াল অফিসার নেড সেগালকে (CFO Ned Segal) ছাঁটাই করেন তিনি। তারপরে (৫ নভেম্বর), সংস্থার ৫০ শতাংশ কর্মী ছাঁটাইয়ের নির্দেশ দেন মাস্ক।
একইসঙ্গে তিনি জানান, সংস্থার আর্থিক স্বাস্থ্য পুনরুদ্ধার করার জন্য ২০২৩ সাল পর্যন্ত বিভিন্ন ক্ষেত্রে ব্যয়সঙ্কোচ করা হবে।
প্রসঙ্গত, লাভের নিরিখে ভারতকে একটি ‘সম্ভাবনাময় দেশ’ বলেই মনে করে থাকে ফেসবুক (Facebook) ও হোয়াটসঅ্যাপ (WhatsApp)-র নিয়ন্ত্রক সংস্থা মেটা (Meta)। একই মত পোষণ করে গুগলের (Google) নিয়ন্ত্রক সংস্থা অ্যালফাবেট (Alphabet Inc.)। ভারতে বিপুল সংখ্যক ব্যবহারকারী থাকা সত্ত্বেও সেখানে ব্যবসার পরিধিকে কেন ক্রমশ ছোট করে চলেছেন ট্যুইটার কর্তৃপক্ষ, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন