দুই দলিত নাবালিকাকে ধর্ষণ করে খুনের অভিযোগ উঠলো উত্তরপ্রদেশের লখিমপুর খেরিতে। ওই দুই নাবালিকা সম্পর্কে বোন, একজনের বয়স ১৭ এবং আর একজনের ১৫। এই ভয়ঙ্কর ঘটনায় পুলিশ ইতিমধ্যেই ৬ জনকে গ্রেফতার করেছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, লখিমপুরের নিঘাসন থানার অধীনে এই ঘটনাটি ঘটেছে। বুধবার বিকেলে একটি গাছ থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয় ওই দুই বোনকে। এই ঘটনায় যে ছয়জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে তারা হলো - সুহেল, জুনেইদ, হাফিজুল রহমান, করিমুদ্দিন, আরিফ এবং ছোটু।
জেলা পুলিশ সুপার সঞ্জীব সুমন সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন, ওই দুই নাবালিকাকে কাছেই আখ ক্ষেতে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে সুহেল এবং জুনেইদ। মেয়েদের অপহরণ করা হয়নি, তারা স্বেচ্ছায় গিয়েছিল কারণ সুহেল এবং জুনেইদ তাদের বন্ধু ছিল।
পুলিশ জানিয়েছে, ধর্ষণের পর ওই দুই নাবালিকা বিয়ের জন্য জোর করলে, তাদের ওড়না দিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে সুহেল এবং জুনেইদ। এরপর কারিমুদ্দিন এবং আরিফ ঘটনাস্থলে এসে মৃতদেহগুলিকে গাছ থেকে ঝোলাতে সাহায্য করেছিল, যাতে এটি আত্মহত্যা বলে মনে হয়।
যদিও নিহতদের মায়ের অভিযোগ, তার মেয়েদের অপহরণ করা হয়েছিল। মৃতদেহ উদ্ধারের তিন ঘণ্টা আগে তিনজন যুবক জোর করে তাঁর মেয়েদের বাইকে করে তুলে নিয়ে যায় বলে পুলিশের কাছে অভিযোগ করেছেন তিনি।
মৃতদেহগুলো ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। এলাকায় বিশাল পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।
এই ঘটনা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ এবং বিজেপির বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন বিরোধীরা। সমাজবাদী পার্টির প্রধান অখিলেশ যাদব টুইটারে লেখেন, "যোগী জী আপনি আর কোথাও মুখ দেখানোর যোগ্য রইলেন না। আপনার শাসনে অপরাধ চরমে। শুধু অপরাধী এবং বিজেপি কর্মীরাই অপরাধ করছে না, আপনার পৃষ্ঠপোষকতায় পুলিশও অপরাধ করছে। উত্তরপ্রদেশের আর কতো ক্ষতি করবেন আপনি? একটু লজ্জা পান।"
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, বুধবারই জেল হেফাজতে থাকা এক নিম্ন বর্ণের যুবককে পিটিয়ে হত্যা করার অভিযোগ উঠেছে পুলিশের বিরুদ্ধে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন