পুণের পোর্শেকাণ্ডে এবার দু’জন চিকিৎসককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। দু’জনের বিরুদ্ধেই অভিযুক্ত নাবালকের ফরেন্সিক রিপোর্ট বদলে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
পোর্শেকাণ্ডে অভিযুক্ত নাবালকের রক্ত পরীক্ষা হয়েছিল সাসুনা হাসপাতালে। নাবালক মদ্যপ অবস্থায় ছিল কিনা তা জানার জন্যই পরীক্ষা করা হয়েছিল। কিন্তু দুই চিকিৎসকের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তাঁরা মদ্যপ নন এমন একজন ব্যক্তির সাথে ওই নাবালকের রক্ত বদলে দেন। যাতে নাবালককে মদ্যপ প্রমাণ করতে ব্যর্থ হয় পুলিশ।
পুণের পুলিশ কমিশনার অমিতেশ কুমার জানান, পুণের সাসুন হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগের প্রধান ডাঃ অজয় তাউড়ে এবং সাসুন-র প্রধান মেডিকেল অফিসার ডাঃ শ্রীহরি হারনরকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাঁদের বিরুদ্ধে অভিযুক্তের রক্তের নমুনা বদলে দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। তাঁদের জেরা করে কেন এই কাজ করেছেন তার উত্তর খোঁজা হচ্ছে। কিছুদিন আগেই তদন্তে অবহেলা এবং দেরিতে রিপোর্ট জমা দেওয়ার কারণে প্রশাসনের দুই আধিকারিককে বরখাস্ত করা হয়েছিল।
ঘটনাটি ঘটে গত শনিবার রাত ২.৩০ নাগাদ পুণের কল্যাণী নগর মোড়ে। একটি বাইক করে ফিরছিলেন দু’জন। আচমকাই এক পোর্শে গাড়ি এসে সজোরে ধাক্কা মারে ওই বাইকটিকে। পোর্শে গাড়ির গতি ছিল ঘন্টায় প্রায় ২০০ কিলোমিটার। বাইকে থাকা দু’জন ছিটকে গিয়ে পড়ে। তৎক্ষণাৎ মৃত্যু হয় দু’জনের।
পুলিশ জানায়, মৃত ওই দুজনের নাম অনীশ আওয়াধিয়া এবং অশ্বিনী কোশতা। দুজনের বয়সই ২৪ বছর। তাঁরা মধ্যপ্রদেশের বাসিন্দা হলেও পুণেতে কর্মরত ছিলেন। ১৭ বছরের এক নাবালক মদ্যপ অবস্থায় নম্বর প্লেটহীন পোর্শে গাড়ি চালাচ্ছিল। তখনই দুর্ঘটনা ঘটে।
নাবালকের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির (আইপিসি) ৩০৪ ধারায় অপরাধমূলক হত্যাকাণ্ডের জন্য মামলা দায়ের হয়। পুলিশ অভিযুক্তকে নিজেদের হেফাজতে রাখার আবেদন জানায়। কিন্তু সেই আবেদন খারিজ করে অভিযুক্তকে শর্তসাপেক্ষ জামিন দেয় নিম্ন আদালত।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন