মরশুমের প্রথমেই যেখানে কেন্দ্রীয় সরকার ৪৪৪ লক্ষ মেট্রিক টন গম সংগ্রহের লক্ষ্য নিয়েছিল, সেখানে লক্ষ্যের অর্ধেকও পৌঁছায়নি। যার ফলে রেশনিং ব্যবস্থায় গমের জোগান কমছে, পাশাপাশি দেশের বাজারে গমের দাম বৃদ্ধি পাওয়ার সম্ভাবনা বাড়ছে। রবি মরশুমের সময় সংগ্রহের লক্ষ্য অর্ধেকেরও বেশি ছেঁটে ১৯৫ লক্ষ মেট্রিক টন করা হয়েছে। যা বিগত ১৩ বছরে কোনওদিন হয়নি।
কেন্দ্রীয় খাদ্য মন্ত্রকের অনুমান, আগে যা উৎপাদন হয়েছিল তাঁর থেকে এইবছর অনেক কম উৎপাদন হবে। যা অনুমান ছিল তার চেয়ে প্রায় ৬% কম। ১০৫০ লক্ষ টন গম উৎপাদন হবে বলেই অনুমান করা হচ্ছে। কেন্দ্রীয় সরকারের বক্তব্য, গমের উৎপাদন কম। বেসরকারী সংস্থাগুলি বেশি টাকায় গম কিনছে।
কেন্দ্রীয় খাদ্য সচিব সুধাংশু পাণ্ডের বক্তব্য, চাষিরা ভবিষ্যতে অতিরিক্ত লাভের আশায় সরকারি সংস্থায় গম বেচতে চাইছে না। তাঁর দাবি, ন্যূনতম সহায়ক মূল্যের (MPS) চেয়ে বেশি দাম পাচ্ছেন বলেই কৃষকরা কর্পোরেটদের কাছে গম বিক্রি করছেন।
এ প্রসঙ্গে, CPI(M)-র সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি বলেন, "কৃষক আন্দোলনকে দেওয়া প্রতিশ্রুতির নির্মম খেলাপ চলছে। ২০২১-২২ অর্থবর্ষে ৪৩৩ লক্ষ টন গম সংগ্রহ করেছিল কেন্দ্রীয় সরকার। এবছর ২০০ লক্ষ টন সংগ্রহ হবে কিনা বোঝা যাচ্ছে না। অথচ সরকারই ৪৪৪ লক্ষ টন গম সংগ্রহের লক্ষমাত্রা ঘোষনা করেছিল।" তিনি আরও বলেন, কেন্দ্রকে গম সংগ্রহ বৃদ্ধির লক্ষ্যে জোর দিতেই হবে। বস্তুত, কৃষক আন্দোলন প্রত্যাহারের জন্য সরকারি সংগ্রহ বৃদ্ধি এই সংক্রান্ত আইনের লক্ষ্যে আলোচনার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল কেন্দ্র।
গমের দাম প্রসঙ্গে পাণ্ডে বলেন, "কৃষকরা যখন ভালো দাম পাচ্ছেন সাধারণ ক্রেতাদের কিছু দায় নিতে হবে।" যদিও তিনি নিজেও দেশীয় বাজারে গমের মূল্যবৃদ্ধি এবং রপ্তানি কমে যাওয়ার বিষয়টি এড়িয়ে যেতে পারেননি। দেশের বাজারে মূল্যবৃদ্ধির কারণে ইতিমধ্যেই উদ্বিগ্ন বিভিন্ন মহল। মূল্যবৃদ্ধির জাঁতাকলে জেরবার গরীব থেকে মধ্যবিত্ত।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন