গত বছরের তুলনায় এ বছরে মহামারীর জেরে কর্মহীনের সংখ্যা বেড়ে গিয়েছে। প্রতি পাঁচজনে একজন কাজ হারিয়েছেন। কেন্দ্রের সমীক্ষায় যে তথ্য পাওয়া গিয়েছে, তা থেকে জানা যাচ্ছে, ১৫ থেকে ২৯ বছর বয়সীদের মধ্যে কাজ হারানোর সংখ্যা সব থেকে বেশি। ২০২১- এর প্রথম তিন মাসে কর্মহীন হয়েছিল ২২.৯ শতাংশ। ২০২০ সেই সংখ্যা পৌঁছয় ২১.১ শতাংশ।
এদিকে শহরের বেকার মহিলাদের হার গত মার্চ মাসে ছুঁয়েছে ৩০ শতাংশ। মহামারীর আগে ২০১৯এর অক্টোবর- ডিসেম্বরে এই হার ছিল ২৫ শতাংশ। সরকার যদিও উন্নতি হচ্ছে, ঘুরে দাঁড়ানোর দাবি করছে।
কেন্দ্রীয় পরিসংখ্যান ও প্রকল্প রূপায়ণ মন্ত্রক যে তথ্য দিচ্ছে, তাতে কর্মসংস্থানের বিপজ্জনক অবস্থায় আছে বলে প্রকাশ পাচ্ছে। জিজ্ঞাসাবাদের আগের সাতদিন কোথাও কোনও কাজের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন কিনা তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
সরকারি সমীক্ষায় রিপোর্ট প্রকাশিত হয় কিছুটা দেরিতে। অপেক্ষাকৃত দ্রুত রিপোর্ট পাওয়া যায় সেন্টার ফর মনিটরিং ইন্ডিয়ান ইকোনমি সমীক্ষায়। সিপিআইএমের সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি জানান, মার্চের পরে জীবিকা এবং অর্থনীতিতে বড় বিপর্যয় এসেছে। সরকারকে বেকার ভাতা ঘোষণা করতে হবে। বিশেষজ্ঞদের অভিযোগ, মহামারীর অজুহাতে কেন্দ্র অর্থনৈতিক নীতির দুর্বলতা আড়াল করতে চাইছে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন