সম্প্রতি করোনা প্রতিরোধে টিকা থেকে ওষুধ, সবকিছু সরবরাহের ক্ষেত্রে কেন্দ্রের নিয়ন্ত্রণ করার একটা প্রবণতা দেখা দিয়েছে। কিন্তু রাজ্যস্তরে এই সংক্রান্ত কোনও সমস্যা হলে দায় পড়েছে রাজ্য প্রশাসনের ওপরেই। একই বিষয় হচ্ছে অক্সিজেনের সরবরাহ করা নিয়েও। গত কয়েকদিন ধরেই প্রতিদিন করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দু'লক্ষ ছাড়িয়ে যাচ্ছে। চাহিদা বাড়ছে অক্সিজেনের। সেই প্রসঙ্গে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পীযূষ গোয়েলের বক্তব্য নিয়ে সমালোচনার ঝড় বয়ে গিয়েছে। তাঁর বক্তব্য ছিল, রাজ্যগুলিকে অক্সিজেন চাহিদা নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। রাজ্য সরকারকেই তা নজরদারি করতে হবে।
যেখানে আক্রান্তের সংখ্যা এবং মৃত্যুর সংখ্যা দুটিই সমানুপাতিক হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে, আর করোনা রোগীর চিকিৎসার অন্যতম উপাদানই যেখানে অক্সিজেন, সেখানে কী করে একজন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী এই ধরনের মন্তব্য করছেন, তা ভেবে অবাক হচ্ছেন সবাই। বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁর এই বক্তব্য নিয়ে সমালোচনার ঝড় বয়েছে, সঙ্গে অনেকেই হ্যাশট্যাগ দিয়ে লিখছেন, রিজাইন মোদি। নেটাগরিকদের প্রশ্ন, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী কি তবে শ্বাস কম নিতে বলছেন? কারও প্রশ্ন, রোগী কতটা অক্সিজেন নেবেন, সেটাও কি মন্ত্রীজী ঠিক করবেন? কেউ বিদ্রুপ করে বলছেন, কম করে শ্বাস নিন প্রত্যেকে।
কংগ্রেসের দিগ্বিজয় সিংহের প্রথম প্রতিক্রিয়া, 'হাউ স্টুপিড পীযূষজী! প্রয়োজনের উপরে নির্ভর করে অক্সিজেনের চাহিদা। সেটা কীভাবে নিয়ন্ত্রণ হবে? কেন্দ্র জরুরি পরিস্থিতি মোকাবিলার কোনও পরিকল্পনাই করে উঠতে পারেনি।' কংগ্রেসের মনীশ তিওয়ারি বলেন, 'পীযূষ গোয়াল দায় এড়াচ্ছেন। মানুষ মারা যাচ্ছেন, এ সময় এটা মেনে নেওয়া যায় না।'
পরিস্থিতি নাগালের বাইরে চলে যাচ্ছে দেখে ড্যামেজ কন্ট্রোল করতে নামেন পীযূষ গোয়েল। তাঁর সাফাই, 'রোগীদের ততটুকুই অক্সিজেন দিতে হবে, যতটা তাঁদের দরকার। কিছু জায়গা থেকে অপচয়ের খবর আসছে। কিছু ক্ষেত্রে দরকার না-থাকা সত্ত্বেও অক্সিজেন দেওয়ার খবর আসছে।' মন্ত্রীর সাফাই নিয়েও কটাক্ষ করতে ছাড়েননি সাধারণ মানুষ।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন