বন্দর বেসরকারিকরণ হলে কর্মসংস্থান ও জাতীয় নিরাপত্তা বিঘ্নিত হবে - আশঙ্কা শ্রমিক ইউনিয়নগুলোর

সম্প্রতি মন্ত্রকের তরফে মেজর পোর্ট ট্রাস্ট অ্যাক্ট ১৯৬৩ প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে। তার বদলে মেজর পোর্ট অথরিটি অ্যাক্ট ২০২১ লাগু করেছে।
বন্দর বেসরকারিকরণ হলে কর্মসংস্থান ও জাতীয় নিরাপত্তা বিঘ্নিত হবে - আশঙ্কা শ্রমিক ইউনিয়নগুলোর
ফাইল ছবি- সংগৃহীত
Published on

হায়দরাবাদ, ৪ মার্চ: ২-৪ মার্চ পর্যন্ত মেরিটাইম ইন্ডিয়া সামিটের আয়োজন করা হয়েছিল কেন্দ্রীয় বন্দর, জাহাজ ও জলপথ মন্ত্রকের তরফে। কেন্দ্রের আয়োজিত এই সম্মেলনের দ্বারা বন্দর বেসরকারিকরণের চিন্তা তাড়িয়ে বেড়াচ্ছে শ্রমিক ইউনিয়নগুলোকে। যদি বেসরকারিকরণের পথে হাঁটে কেন্দ্র, তাহলে আগামীদিনে বড়সড় বেকারত্বের সমস্যার মধ্যে পড়তে চলেছেন সামুদ্রিক ক্ষেত্রে যুক্ত কর্মী- শ্রমিকরা।

সম্প্রতি মন্ত্রকের তরফে মেজর পোর্ট ট্রাস্ট অ্যাক্ট ১৯৬৩ প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে। তার বদলে মেজর পোর্ট অথরিটি অ্যাক্ট ২০২১ লাগু করেছে। এবং ইন্ডিয়ান পোর্ট অ্যাক্ট, ১৯০৮ ও মার্চেন্ট শিপিং অ্যাক্ট, ১৯৫৮ প্রত্যাহার করে নেওয়ার পরিকল্পনাও রয়েছে। শ্রমিক ইউনিয়নগুলোর দাবি, নতুন আইন বানানো হয় কর্পোরেটদের সুবিধার জন্য। যা জাতীয় নিরাপত্তার জন্যও সমানভাবে ক্ষতিকর।

উল্লেখ্য, গত সোমবার, ১ মার্চ এই সম্মেনের উদ্বোধন করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেন, এরফলে ৪০০টি নতুন প্রকল্প রয়েছে এতে। যার ফলে ৩১ বিলিয়ন ডলার অর্থাৎ ২.২৫ লাখ কোটি টাকা লগ্নির সম্ভাবনা রয়েছে। অন্যদিকে, শ্রমিক ইউনিয়নগুলোর তরফে জানানো হয়েছে- কেন্দ্র যাই বলুক না কেন, এরফলে বন্দরক্ষেত্রে যেমন বেকারত্বের সৃষ্টি হবে, তেমনই দেশের নিরাপত্তাও বিঘ্নিত হতে চলেছে।

ইউনাইটেড পোর্টস অ্যান্ড ডক এমপ্লইজ ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক ভিএস পদ্মনাভ রাজু জানিয়েছেন, গত ৬ বছরে মোদি সরকার বন্দরগুলোর সুবিধার্থে কোনও কাজই করেনি।বন্দের মাত্র দুই তৃতীয়াংশই ব্যবহার করা হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে কেন্দ্রের বেসরকারিকরণের সিদ্ধান্ত একেবারেই যে ভুল, তা সহজেই অনুমেয়।

স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in