নাম বদলের তালিকায় এবার হয়তো উঠতে চলেছে লখনৌর নাম। বিজেপি সাংসদ সঙ্গম লাল গুপ্তা লক্ষ্ণৌর নাম পরিবর্তন করে লক্ষ্মণপুরী করার দাবি জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবং উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীর কাছে।
এক চিঠিতে বিজেপি সাংসদ সঙ্গম লাল গুপ্ত প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এবং উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথকে লখনউয়ের নাম পরিবর্তন করে 'লখনপুর' বা 'লক্ষ্মণপুরী' করার দাবি জানিয়েছেন।
এর আগে, ২০২২ সালের মে মাসে, উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে স্বাগত জানাতে এক ট্যুইটে লক্ষ্ণৌকে লক্ষ্মণের শহর হিসাবে উল্লেখ করেছিলেন। এরপর থেকেই লখনৌর নাম বদল নিয়ে আলোচনা শুরু হয়।
যোগী আদিত্যনাথ তাঁর ট্যুইটে জানিয়েছিলেন, "শেষাবতার ভগবান শ্রীলক্ষ্মণজী কি পবন নগরী লখনউ মে আপকা হার্দিক স্বাগত ভা অভিনন্দন (ভগবান লক্ষ্মণের দেশ লখনউতে আপনাকে স্বাগত)।"
বিজেপি সাংসদ তার চিঠিতে জানিয়েছেন, "প্রাচীন বিশ্বাস অনুসারে, ভগবান রাম লক্ষ্মণজীকে লক্ষ্ণৌ উপহার দিয়েছিলেন এবং তখন থেকেই তাঁর নামকরণ করা হয়েছিল 'লখনপুর' বা 'লক্ষ্মণপুর'। তবে ১৮ শতকে তৎকালীন নবাব আসাফ-উদ- দৌলা এটির নাম পরিবর্তন করে লখনউ রাখেন এবং তখন থেকে এই নামেই এটি পরিচিত হয়৷ এখন যেহেতু দেশ অমৃতকালের মধ্যে প্রবেশ করেছে, দাসত্বের এই প্রতীকটি দূর করা দরকার।"
ইতিমধ্যে, রামের ছোট ভাই লক্ষ্মণের একটি বড়ো, ব্রোঞ্জ মূর্তি চৌধুরী চরণ সিং আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের বাইরে স্থাপন করা হয়েছিল। যদিও এটি আনুষ্ঠানিকভাবে উন্মোচন করা হয়নি।
স্ট্যাচু অফ ইউনিটি খ্যাত ভাস্কর রাম সুতারের ডিজাইন করা ব্রোঞ্জের মূর্তিটি পার্কের ঠিক বাইরে একটি গোলচত্বরে স্থাপন করা হয়েছে। ১০ থেকে ১২ ফেব্রুয়ারি লখনউতে নির্ধারিত গ্লোবাল ইনভেস্টরস সামিট এবং ১৩ থেকে ১৫ ফেব্রুয়ারিতে নির্ধারিত জি-২০ শীর্ষ বৈঠকের কয়েকদিন আগে এই মূর্তি স্থাপন করা হয়।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন