প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা প্রাক্তন বিজেপি নেতা স্বামী চিন্ময়ানন্দের বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করলো উত্তরপ্রদেশের একটি আদালত। শাহজাহানপুরের সাংসদ/বিধায়কদের একটি বিশেষ আদালত বৃহস্পতিবার এই নির্দেশ দিয়েছে। ২০১১ সালের একটি ধর্ষণ মামলায় ট্রায়াল কোর্টে হাজিরা না দেওয়ায় তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন বিশেষ সাংসদ/বিধায়ক বিচারপতি আসমা সুলতানা।
অবিলম্বে চিন্ময়ানন্দকে গ্রেফতার করে আদলতে হাজির করার জন্য শাহজাহানপুরের সিনিয়র পুলিশ সুপারকে নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি। এই মামলার পরবর্তী শুনানি ৯ ডিসেম্বর।
শাহজাহানপুরে এক আইনের ছাত্রীকে দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে লাগাতার ধর্ষণ করার অভিযোগ ওঠে প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্বামী চিন্ময়ানন্দের বিরুদ্ধে। ধর্ষিতার বাবার অভিযোগের ভিত্তিতেই চিন্ময়ানন্দের বিরুদ্ধে FIR দায়ের করা হয়। যদিও অভিযোগ ওঠে উত্তরপ্রদেশ পুলিশ প্রথম FIR দায়ের করতে চায়নি। দীর্ঘ টালবাহানার পর দায়ের হয় FIR। ছাত্রীর বাবার অভিযোগ, এই ঘটনার পর চিন্ময়ানন্দ নিজের ফোন অফ করে রেখেছিলেন। তার সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি।
মামলাটি ২০১১ সালে দায়ের করা হয় এবং ২০১২ সালের অক্টোবরে আদালতে চার্জশিট দাখিল করা হয়। এরপর এলাহাবাদ হাইকোর্টের স্থগিতাদেশের কারণে বিচারের কার্যক্রম শুরু করা যায়নি।
২০১৮ সালে, যোগী সরকার চিন্ময়ানন্দের বিরুদ্ধে মামলা প্রত্যাহার করার সিদ্ধান্ত নেয়। দেশজুড়ে তীব্র বিক্ষোভের জেরে ২০১৯ সালের ২০ সেপ্টেম্বর চিন্ময়ানন্দকে গ্রেপ্তার করে জেলে পাঠানো হয়। পরে ২০১৯ সালের ৪ নভেম্বর একটি চার্জশিট ফাইল করা হয়। যদিও ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারী মাসে প্রাক্তন বিজেপি নেতাকে জামিন দেয় এলাহাবাদ হাইকোর্ট।
এরপর শাহজাহানপুরের নিম্ন আদালতে এই মামলার কার্যক্রম শুরু হয়।
চিন্ময়ানন্দর আইনজীবী ওম সিং অভিযোগকারী ছাত্রী ও তার বন্ধুর বিরুদ্ধে বিজেপি নেতার কাছ থেকে ৫ কোটি টাকা তোলা আদায়ের পাল্টা অভিযোগ দায়ের করেন। এই দু'টি মামলাই খারিজ করে দিয়েছে লখনউয়ের বিশেষ আদালত।
২০১৯ সালে জেল হেফাজতে থাকাকালীন জিজ্ঞাসাবাদের সময়, চিন্ময়ানন্দ নিজের অপরাধ স্বীকার করেছিলেন বলে জানা গেছে। SIT প্রধান নবীন অরোরা বলেছিলেন, "চিন্ময়ানন্দ বলেছেন, তিনি তার কাজের জন্য লজ্জিত এবং আর এই বিষয়ে সাক্ষ্য দিতে চান না তিনি।"
ধর্ষণের অভিযোগ উঠার পরই বিজেপির তরফ থেকে প্রাক্তন মন্ত্রীর সদস্য পদ খারিজ করা হয়।
-With IANS Inputs
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন