তাঁকে যোগী মন্ত্রীসভায় যুক্ত করা হবে। এই আশ্বাস পেয়ে তড়িঘড়ি সমাজবাদী পার্টির জোট ছেড়ে বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ জোটের শরিক হয়েছিলেন সুহেলদেব সমাজ পার্টির (SBSP) প্রধান ওমপ্রকাশ রাজভর। যদিও এনডিএ শিবিরে নাম লেখানোর পর কয়েক মাস কেটে গেলেও এখনও তিনি মন্ত্রী হতে পারেননি। তাই এবার সরাসরি ক্ষোভ প্রকাশ করলেন ওমপ্রকাশ এবং জানালেন ইন্ডিয়া মঞ্চ থেকে তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে।
রাজভর জানিয়েছেন, “দিল্লিতে বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব তাঁকে নিশ্চিত করেছিলেন যে মন্ত্রীসভা সম্প্রসারণের সময় যোগী আদিত্যনাথের মন্ত্রীসভায় তাঁকে মন্ত্রিত্ব দেওয়া হবে।”
তিনি আরও জানান, “আমরা স্পষ্ট ভাবে জানাতে চাই যে আমরা মন্ত্রীত্বের জন্য লড়াই করি না, আমরা সামাজিক ন্যায় প্রতিষ্ঠার জন্য লড়াই করি। আমাদের সঙ্গে ইতিমধ্যেই কংগ্রেস, শিবসেনা এবং জেডি(ইউ)-র পক্ষ থেকে যোগাযোগ করা হয়েছে।”
এদিন রাজভর বলেন, বিশিষ্ট কংগ্রেস নেতা প্রমোদ কৃষ্ণান আমার সঙ্গে বহুবার যোগাযোগ করেছেন। আজও তাঁর সঙ্গে আমার কথা হয়েছে এবং তিনি আমাকে কলকি মহোৎসবে যোগ দিতে অনুরোধ করেছেন। আমি তাঁকে জানিয়েছি যে আমি যাব।
তিনি আরও বলেন, একাধিক রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আমার যোগাযোগ আছে এবং কেউ যদি আমার সঙ্গে যোগাযোগ করে তবে অবশ্যই তাদের সঙ্গে কথা বলব। কিছু আগামী লোকসভা নির্বাচনে ভারতীয় জনতা পার্টির নীতি অনুসারেই আমাদের লড়াই করা ইচ্ছে।
উল্লেখ্য, ২০১৭ সালে এনডিএ শিবিরে যোগ দিয়ে যোগী মন্ত্রীসভায় মন্ত্রী হন ওমপ্রকাশ রাজভর। এরপর ২০১৯ সালে তিনি বিজেপি শিবির ত্যাগ করেন। ২০২২ সালের উত্তরপ্রদেশ বিধানসভা নির্বাচনে তিনি সমাজবাদী পার্টির সঙ্গে জোট করে নির্বাচনে লড়াই করেন। কিন্তু বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির জয়ের পর তিনি আবারও এনডিএ শিবিরে ফিরে যান।
পূর্ব উত্তরপ্রদেশের ঘোষি কেন্দ্রে বিজেপির পরাজয়ের পরে, যেখানে তিনি একটি আক্রমণাত্মক প্রচারের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন, তাঁর মন্ত্রী হওয়ার বিষয়ে প্রশ্ন ওঠে। যদিও বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্বের মতে পূর্ব উত্তরপ্রদেশে রাজভরদের (ওবিসি) মধ্যে তাঁর ব্যাপক জনসংযোগের কারণে তাকে “মন্ত্রীসভায় যুক্ত করা উচিত।”
আনুগত্য পরিবর্তনের বিষয়ে এক প্রশ্নের উত্তরে সম্প্রতি রাজভর বলেছিলেন যে রাজনীতিবিদদের প্রায়শই দ্বৈত চরিত্র থাকে - 'দু’মুখো সাপের মতো'। "আমিও সেরকমই একজন।"
তিনি আরও বলেন, কখন এবং কোথায় একজন নেতা পক্ষ পরিবর্তন করতে পারে তা পূর্বাভাস দেওয়া সম্ভব নয়। তাঁর মতে কোনও রাজনৈতিক দলই সম্পূর্ণরূপে নৈতিক নয়। তাঁর এই বিবৃতির পর রাজনৈতিক মহলে তিনি প্রবল সমালোচিত হন। যদিও রাজনৈতিক মহলের একাংশের মতে তিনি বিজেপি নেতৃত্বের ওপর চাপ সৃষ্টি করার জন্যই এই ধরণের কথা বলছেন।
- With Agency Inputs
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন