প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ও বিজেপি নেতা স্বামী চিন্ময়ানন্দের বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য গ্রেপ্তারি পরোয়ানা (NBW) জারি করা হল। শাহজাহানপুরের অতিরিক্ত মুখ্য বিচারবিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেট (ACJM) এর আদালতে তাঁর বিরুদ্ধে এক বিচারাধীন ধর্ষণ মামলায় হাজির না হওয়ার জন্য এই পরোয়ানা জারি করা হয়েছে।
মামলাটি ২০১১ সালে দায়ের করা হয় এবং পরবর্তীতে অক্টোবর ২০১২ সালে আদালতে চার্জশিট দাখিল করা হয়। এরপর এলাহাবাদ হাইকোর্টের স্থগিতাদেশের কারণে বিচারের কার্যক্রম শুরু করা যায়নি।
২০১৮ সালে, যোগী সরকার চিন্ময়ানন্দের বিরুদ্ধে মামলা প্রত্যাহার করার সিদ্ধান্ত নেয় এবং CrPC এর ৩২১ ধারার অধীনে চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে একটি আবেদন দাখিল করে।
যদিও ধর্ষিতার পক্ষ থেকে "আপত্তি" জানানোর পরে সিজেএম সেই আবেদন প্রত্যাখ্যান করে।
যদিও এর পর, ধর্ষিতা উচ্চ আদালতে একটি আবেদন করেন। যেখানে তিনি উল্লেখ করেন, "মামলা প্রত্যাহার করা হলে তাঁর কোনো আপত্তি নেই"।
সেই রায় উচ্চ আদালতে বিচারাধীন এবং শাহজাহানপুরের নিম্ন আদালতে মামলার কার্যক্রম শুরু হয়।
সম্প্রতি, নিম্ন আদালত পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছে ২৬ সেপ্টেম্বর, পরবর্তী শুনানির তারিখে অভিযুক্তকে হাজির করা নিশ্চিত করতে হবে।
শাহজাহানপুরের এসপি সঞ্জয় কুমার বলেন, "আমরা NBW সম্পর্কে জানতে পেরেছি। এই বিষয়ে আমরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।"
উত্তরপ্রদেশের শাহজাহানপুরে এক আইনের ছাত্রীকে যৌন হেনস্থা ও ধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্ত ছিলেন বিজেপি নেতা স্বামী চিন্ময়ানন্দ। তাঁর বিরুদ্ধে ধর্ষিতার বাবার অভিযোগের ভিত্তিতেই থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়। ছাত্রীর বাবার অভিযোগ, এই ঘটনার পর চিন্ময়ানন্দ নিজের ফোন অফ করে রেখেছিলেন। তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি। এরপর ২০১৯ সালের ২০ সেপ্টেম্বর চিন্ময়ানন্দকে গ্রেপ্তার করে জেলে পাঠানো হয়। পরে ২০১৯ সালের ৪ নভেম্বর একটি চার্জশিট ফাইল করা হয় ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৭৬-সি ধারায় মামলা দায়ের করা হয়।
আইনজীবী ওম সিং অভিযোগকারী ছাত্রী ও তার বন্ধুর বিরুদ্ধে চিন্ময়ানন্দর কাছ থেকে ৫ কোটি টাকা তোলা আদায়ের পাল্টা অভিযোগ দায়ের করেন। এই দু'টি মামলাই খারিজ করে দিয়েছে লখনউয়ের বিশেষ আদালত।
- with inputs from IANS
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন