ফের দলিতদের সঙ্গে বৈষম্যমূলক আচরণের অভিযোগ উঠল যোগী আদিত্যনাথের রাজ্যের সরকারি স্কুলে। এবারের ঘটনাস্থল উত্তরপ্রদেশের মৈনপুরী জেলার দাউদপুর গ্রামের একটি স্কুল। সে-রাজ্যের সরকারি স্কুলের মিডডে মিলের রাঁধুনিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনা নিয়ে বিধানসভা নির্বাচনের কয়েকমাস আগে উত্তরপ্রদেশের ভোট রাজনীতি সরগরম। বিরোধীরাও আক্রমণ শানিয়েছে।
অভিযোগ, ওই স্কুলে তফশিলি জাতি ও উপজাতি পড়ুয়াদের মিড ডে মিল খাওয়ার জন্য আলাদা আলাদা ব্যবস্থা রয়েছে। তাদের এঁটো থালা-বাটি অন্য কেউ ধুতে পারবে না। নিজেদেরই করতে হবে। এমনকী উচ্চবর্ণের পড়ুয়া ও তাদের পাত্র একসঙ্গে রাখা যাবে না বলেও অলিখিত নির্দেশিকা রয়েছে স্কুল কর্তৃপক্ষের।
গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান মঞ্জু দেবীর কানে যায় ঘটনাটি। তিনি প্রধান শিক্ষিকা গরিমা রাজপুতকে জানান। তিনি এসবে কান দেননি। এরপর এক সরকারি আধিকারিক প্রধান শিক্ষিকাকে আবার অভিযোগ করেন। তখন তাঁর স্বামী প্রবীণ রাজপুত বলেন, এভাবেই স্কুল চলে এসেছে। ভবিষ্যতেও চলবে।
ঘটনা জানাজানি হতেই জেলা প্রশাসনিক স্তরে তদন্ত শুরু হয়। জেলার মুখ্য উন্নয়ন আধিকারিক বিনোদ কুমার সরেজমিনে স্কুল পরিদর্শন করেন। স্কুলের দুই রাঁধুনি দলিত পড়ুয়াদের পাত্র পরিষ্কার করতে অস্বীকার করেন। সেই রিপোর্ট পেয়ে জেলাশাসক ওই দুই রাঁধুনিকে বরখাস্ত করার নির্দেশ দেন।
প্রধান শিক্ষিকাকেও শোকজ করা হয়। কিন্তু তিনি এই ঘটনার সঠিক ব্যাখ্যা দিতে পারেননি। এর পরেই জেলা প্রশাসন প্রধান শিক্ষিকাকে সরিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দেয়। বিরোধীদের অভিযোগ, এতদিন ওই স্কুলে পড়ুয়াদের সঙ্গে বৈষম্যমূলক আচরণ হয়েছে। সামনে ভোট বলে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হলেও রাজ্যের বহু স্কুলে এমন আচরণের শিকার বহু পড়ুয়াই।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন