এক মহিলা জন্ম দিয়েছিলেন কন্যা সন্তান। আর এটাই তাঁর অপরাধ। স্বামীর পা চাটতে বাধ্য করে শ্বশুর-শাশুড়ি। পাশাপাশি স্বামী দাবি করে ১৫ লক্ষ টাকার গাড়ি না দিলে কন্যা ও স্ত্রীকে বাড়ি ফেরানো হবে না। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের গাজিয়াবাদে।
বর্তমানে মেয়েরা ক্রীড়া থকে শুরু করে মহাকাশ বিভিন ক্ষেত্রে সাফল্য অর্জন করেছে। এমন সময় দাঁড়িয়েও অন্ধকারে ডুবে আছে বহু মানুষ। আজও অনেকে মনে করে কন্যা সন্তান জন্ম দেওয়া মানে পাপ। উত্তরপ্রদেশের গাজিয়াবাদে ঘটল তেমনই ঘটনা। হরিয়ানার কন্যার বিবাহ হয় উত্তরপ্রদেশের এক ব্যক্তির সাথে। কিন্তু এমন নির্মম পরিস্থিতির স্বীকার তিনি হবেন তা কখনোই ভাবেননি। তার দোষ তিনি কন্যা সন্তানের জন্ম দিয়েছেন। কন্যা সন্তান হওয়ায় ঐ মহিলার শ্বশুর ও শাশুড়ি জোর করে স্বামীর পা চাটতে বাধ্য করে।
এর পাশাপাশি তাঁর স্বামীর দাবি, ১৫ লাখ টাকার একটি গাড়ি কিনে দিতে হবে। এই শর্ত যদি না মানা হয় তাহলে স্ত্রী ও সদ্যজাতকে বাড়ি ফেরানো হবে না। শ্বশুর বাড়ির লোকজনের নির্মম অত্যাচারের বিরুদ্ধে চন্ডীগড় থানায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে। অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে IPC 323, 354A, 406, 498A, 506 এবং 34 নম্বর ধারায় মামলা দায়ের হয়েছে। মহিলাটির পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন, বিয়ের সময় পাত্রকে ৫০ লাখ টাকা দেওয়া হয়েছে।
মহিলা জানিয়েছেন, তাঁর বিয়ে হয় ২০১৭ সালে ডিসেম্বর মাসে। বিয়ের ২০ দিন পর থেকেই তার ওপর অত্যাচার চলতে থাকে। স্বামী, শ্বশুর-শাশুড়ি, ননদ সবাই মিলে তাকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালায়। একাধিকবার তার শ্বশুর অশ্লীল ভাষায় কথাও বলে। তাঁর চরিত্র নিয়েও প্রশ্ন তোলে শ্বশুর বাড়ির সদস্যরা। জোর করে মেডিক্যাল টেস্ট করানো হয়।
২০২০ সালের অগাস্ট মাসে তিনি কন্যা সন্তানের জন্ম দেন। তারপর থেকেই চলতে থাকে শ্বশুর বাড়ির নির্মম অত্যাচার। স্বামীর পা না চাটলে বাড়ি থেকে বের করে দেওয়ারও হুমকিও দেওয়া হয়। নির্যাতিতার পরিবার সমস্যার সমাধান করতে চাইলে তাঁদের কাছে ১৫ লাখ টাকার গাড়ি চায় ঐ ব্যক্তি। যদিও এই ব্যাপারে শ্বশুর বাড়ির পক্ষ থেকে কিছু প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন