রীতি অনুযায়ী ঘোড়ার পিঠে চেপে গ্রাম ঘুরে বিয়ে করবেন পাত্র। কিন্তু সেই রীতি মানতে দিতে রাজি নয় সমাজের একটা অংশ। তার কারণ পাত্র দলিত। আর যারা দলিত পাত্রের এভাবে বিয়েতে আপত্তি জানিয়েছে, তারা সমাজে নিজেদের উচ্চবর্ণের বলে দাবি করে থাকে। কিন্তু শেষপর্যন্ত পাত্রের বুদ্ধিতে গোটা অনুষ্ঠানটি সুষ্ঠু ভাবে সম্পন্ন হয়। শেষ পর্যন্ত পুলিশকে হস্তক্ষেপ করতে হয়। ঘটনাস্থল মধ্যপ্রদেশ।
কী ঘটেছিল? ২২ বছরের নীরজ আহিরওয়ার মধ্যপ্রদেশের দামো জেলার সাগোরিয়া গ্রামের বাসিন্দা। অভিযোগ, রীতি মেনে ঘোড়ায় চেপে গ্রাম ঘুরে বিয়ে করা যাবে না। এমনই হুমকি দিয়েছিল গ্রামের উচ্চবর্ণের লোকেরা। সে দলিত, নিচু জাত। তাই তাঁর ঘোড়ায় চাপা মানায় না। উচ্চবর্ণ লোধি সম্প্রদায়ের একটা অংশের পক্ষ থেকে এই নির্দেশ দেওয়া হয়। পাশাপাশি হুঁশিয়ারি দেওয়া হয় যে, তাঁদের কথা না মানলে বিয়ে ভণ্ডুল করা হবে।
এরপরে নীরজ গোটা ঘটনার বিবরণ দিয়ে একটি ভিডিও তৈরি করে। সাথে সাথে পুলিশি পাহারার আবেদন জানান। সেই আবেদনে সাড়া দেয় স্থানীয় পুলিশ। ভিডিওটি ভাইরালও হয়। সাড়া দেয় পুলিশও। গ্রামে বিরাট পুলিশ বাহিনীর উপস্থিতিতে ঘোড়ায় চেপে গ্রাম ঘুরে মন্দিরে পুজো দিয়ে বিয়ে সারেন নীরজ। নির্বিঘ্নে মিটে যায় বিয়ে পর্ব।
পুলিশের কাজের প্রশংসা হলেও অনেকের প্রশ্ন, ২০২২ সালেও কেন উচ্চবর্ণের ভয়ে পুলিশি পাহারায় বিয়ে হবে কেন দলিত তরুণের! প্রসঙ্গত, ক’দিন আগেই উত্তরপ্রদেশের রায়বেরেলিতে এক দলিত নাবালকের ওপর উচ্চবর্ণের কয়েকজন যুবকের বিরুদ্ধে অকথ্য নির্যাতন চালানোর অভিযোগ ওঠে। তাকে এক অভিযুক্তের পা চাটতেও বাধ্য করা হয় বলে অভিযোগ ওঠে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন