দেশের ৭৭তম স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানেও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নিশানায় বিরোধীরা। এদিন লালকেল্লায় জাতীয় পতাকা উত্তোলনের পর প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০৪৭ সালে এক উন্নত জাতি হিসেবে ভারতকে গড়ে তোলার জন্য জন্য দুর্নীতি, পরিবারতন্ত্র এবং আত্মতুষ্টি লোপ করতে হবে।
আক্ষরিক অর্থে আর মাত্র আট মাস পরে দেশে লোকসভা নির্বাচন। আগামী পাঁচ বছরের জন্য সমর্থন চেয়ে, লালকেল্লার ঐতিহাসিক মঞ্চ থেকে স্বাধীনতা দিবসের ভাষণে প্রধানমন্ত্রী মোদী বলেন, এই উন্নত জাতির স্বপ্ন পূরণের জন্য এক কার্যক্ষমতা ভিত্তিক সরকার থাকা গুরুত্বপূর্ণ ছিল।
স্বাধীনতা দিবসের ভাষণে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আমি যখন ২০১৪ সালে আপনাদের কাছে এসেছি, তখনই এক কর্মক্ষমতা ভিত্তিক সরকারের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম। এই কর্মক্ষমতা ২০১৯ সালে আমাকে ফিরিয়ে এনেছে, এবং আগামী ২৫ বছর এক উন্নত জাতির স্বপ্ন পূরণের সময়। তাই আগামী বছর স্বাধীনতা দিবসে, আমি আপনাদের সামনে এক উন্নত জাতির রোডম্যাপ তুলে ধরব। আমি যেমন বেঁচে আছি, আমি যেমন আপনাদের জন্য স্বপ্ন দেখি, যেমন আমি আপনাদের সকলের মধ্য থেকে এসেছি। আমি আপনাদের স্বপ্ন অপূর্ণ থাকা দেখতে পারি না, কারণ আমি একজন কর্মী এবং আপনাদের সঙ্গী হিসাবে আপনাদের জন্য কাজ করার চেষ্টা করি।”
দুর্নীতি নির্মূলের প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্ব আরোপ করে তিনি বলেন, “আবর্জনার মতোই দুর্নীতির প্রতি ঘৃণার অনুভূতি নিজেদের মধ্যে জাগিয়ে তোলা জরুরি। আমাদের চারপাশের সমস্ত কিছু থেকে দুর্নীতিকে উচ্ছেদ করতে হবে।”
তিনি আরও বলেন, দুর্নীতি উন্নয়নের সবচেয়ে বড় শত্রু এবং তিনি দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাবেন।
এদিন প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আমাদের বংশ পরম্পরার রাজনীতির পাশাপাশি তুষ্টির রাজনীতির বিরুদ্ধেও লড়াই করতে হবে। এই দুই অসুখকে উপড়ে ফেলা দরকার। কারণ এই অভ্যাসই আমাদের জাতির চরিত্রকে নষ্ট করেছে। ২০৪৭ সালের মধ্যে ভারতকে একটি উন্নত দেশ হিসেবে গড়ে তোলার জন্য আমাদের সমস্ত হৃদয় দিয়ে এই তিনটি অসুখের বিরুদ্ধে লড়াই করতে হবে।”
তিনি আরও বলেন, “যারা এগুলোর ওপর ভরসা করে, বিশেষ করে যারা দরিদ্র, অনগ্রসর, উপজাতি, পাসমান্দা এবং এমনকি মহিলারা, তাঁদের মধ্যে আমাদের দুর্নীতি, বংশ পরম্পরার রাজনীতি এবং তুষ্টির প্রতি ঘৃণার অনুভূতি জাগিয়ে তুলতে হবে।"
প্রধানমন্ত্রী বলেন, “কোনও গণতন্ত্রে কীভাবে কোনও রাজনৈতিক দল বংশ পরম্পরায় চলতে পারে? এই জাতীয় দলগুলোর কাছে সবটাই পরিবারের, পরিবারের জন্য এবং পরিবারের দ্বারা। এ ধরনের বংশবাদী রাজনীতির বিরুদ্ধে লড়াই করতে হবে। একইভাবে তুষ্টির বিরুদ্ধেও লড়াই করা দরকার। কারণ এটি সামাজিক ন্যায়বিচারের ভিত্তিকে নষ্ট করেছে।”
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন