দেশে প্রচুর বাঁশ রয়েছে। জীবাশ্ম জ্বালানির ওপর নির্ভরতা কমাতে জ্বালানি হিসেবে বাঁশ ব্যবহার করুন। আমজনতাকে এই পরামর্শ দিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ডঃ জিতেন্দ্র সিং। মন্ত্রীর কথায়, জ্বালানি হিসেবে বাঁশ ব্যবহার করলে আমদানিকৃত জীবাশ্ম জ্বালানির ওপর নির্ভরতা কমবে। এর ফলে পেট্রোলিয়াম সেক্টরে আত্মনির্ভর ভারতের যে লক্ষ্য রয়েছে তা পূরণ হবে।
বৃহস্পতিবার বাঁশের ব্যবহারের উপর জাতীয় পর্যায়ের একটি কর্মশালার আয়োজন করেছিল সরকারি থিঙ্ক ট্যাঙ্ক NITI Aayog। সেখানে ভাষণ দিতে গিয়ে কেন্দ্রীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রী ডঃ জিতেন্দ্র সিং বলেন, কোভিড পরবর্তী সময়ে এই বাঁশ শিল্প দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির মূল চালক হতে চলেছে। দেশে বিপুল পরিমাণে বাঁশ রয়েছে। আগামী বছরগুলোতে জীবিকার একটি গুরুত্বপূর্ণ উৎস হয়ে উঠবে বাঁশ।
বাঁশকে 'সবুজ সোনা' অ্যাখ্যা দিয়ে তিনি বলেন, বায়ো-ইথানল তৈরির জন্য বাঁশ ব্যবহার করা যেতে পারে। এর ফলে আমদানিকৃত জীবাশ্ম জ্বালানির উপর দেশের নির্ভরতা কমবে এবং পেট্রোলিয়াম সেক্টরে ভারত আত্মনির্ভর হয়ে উঠবে।
বাঁশজাত পণ্যের ক্রমবর্ধমান জনপ্রিয়তার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, বাঁশ জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে ব্যবহার করা যায়। এটি পরিবেশ বান্ধব। এটা হাস্যকর যে আমাদের কাছে প্রচুর বাঁশ থাকা সত্ত্বেও আমরা কখনো বাঁশের গুরুত্ব উপলব্ধি করিনি। অন্যান্য দেশ বাঁশের একাধিক পণ্য আমাদের কাছে বিক্রি করার পর আমরা এর গুরুত্ব বুঝেছি।
মন্ত্রীর কথায় সহমত পোষণ করেছেন NITI Aayog-এর সিইও অমিতাভ কান্ত এবং ভাইস চেয়ারম্যান ডঃ রাজীব কুমার। রাজীব কুমারের বলেন, বাঁশ একটি প্রাকৃতিক পণ্য যা একাধিক শিল্পকে উপকৃত করতে পারে। বাঁশের উৎপাদন এবং সরবরাহ বাড়ানোর সময় এসেছে এখন। কৃষক ও যুবকদের মধ্যে বাঁশ শিল্প নিয়ে উৎসাহ বাড়াতে প্রচুর প্রচার দরকার।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন