উত্তরপ্রদেশ মাধ্যমিক শিক্ষা পরিষদ (UPMSP) বা ইউপি বোর্ডের দশম শ্রেণী এবং দ্বাদশ শ্রেণীর পরীক্ষায় প্রায় ৭.৮ লাখ শিক্ষার্থী অংশ নেয়নি। সোমবার, দশম ও দ্বাদশ শ্রেণীর পরীক্ষায় ২.৯ লক্ষ শিক্ষার্থী পরীক্ষায় বসেনি। সোমবার দশম ও দ্বাদশ শ্রেণীর কম্পিউটার ও ভূগোল পরীক্ষা ছিল। গত ২৪ মার্চ থেকে ইউপি বোর্ডের পরীক্ষা শুরু হয়েছে।
সরকারী সূত্র অনুসারে, এবারে পরীক্ষায় অংশ না নেওয়া ছাত্র ছাত্রীর সংখ্যা ২০১৯ এবং ২০২০ সালকে ছাড়িয়ে গেছে। ২০১৯ সালে পরীক্ষায় অংশ নেয়নি ৬.৫ লক্ষ ছাত্র ছাত্রী এবং ২০২০ সালে অংশ নেয়নি প্রায় ৪.৮ লক্ষ ছাত্রছাত্রী। যেখানে এবছর পরীক্ষায় অংশ না নেওয়া ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা প্রায় ৭.৮ লক্ষ। প্রসঙ্গত, কোভিড-১৯ মহামারীর কারণে ২০২১ সালে কোনো পরীক্ষা হয়নি।
প্রকৃতপক্ষে, এ পর্যন্ত পরীক্ষায় না বসা শিক্ষার্থীর এই সংখ্যা গত এক দশকের মধ্যে প্রায় সর্বোচ্চ। ২০১৩ সালে, ৫.৬ লক্ষ শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অনুপস্থিত ছিলো বলে জানিয়েছে UPMSP বোর্ড।
উত্তরপ্রদেশে এবছরের বোর্ড পরীক্ষার প্রথম দিনে দশম এবং দ্বাদশ শ্রেণীর হিন্দি পরীক্ষা ছিলো। যে পরীক্ষায় অংশ নেয়নি ৪.১ লক্ষ শিক্ষার্থী। উত্তরপ্রদেশ বোর্ডের সূত্র অনুসারে গত ২৬ মার্চের পরীক্ষায় অংশ নেয়নি ৭০,২০০ জনের বেশি শিক্ষার্থী। যেদিন উর্দু, তামিল, বাংলা, অসমীয়া, গুজরাটি, পাঞ্জাবি, নেপালি ইত্যাদি ভাষার পরীক্ষা ছিলো।
প্রায় ৭.৮ লক্ষ শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ না নেওয়ায় আধিকারিকদের পক্ষ থেকে এখন ড্রপআউটের কারণ অনুসন্ধান করতে বলা হয়েছে।
রাজ্যের অতিরিক্ত মুখ্য সচিব, ইউপিএমএসপি মাধ্যমিক শিক্ষা সেক্রেটারি আরাধনা শুক্লাকে একটি কমিটি গঠন করার এবং স্কুলের জেলা পরিদর্শককে যুক্ত করে এই বিষয়ে অনুসন্ধান করার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন। জানতে চাওয়া হয়েছে যে কোন পরিস্থিতিতে শিক্ষার্থীরা ফর্ম পূরণ করার পরেও তাদের পরীক্ষায় অংশ নেয়নি।
আধিকারিকরা আরও জানিয়েছেন, কোভিড-১৯ মহামারী জনিত কারণে মানুষের আর্থিক পরিস্থিতিকে প্রভাবিত করেছে এবং তার ফলেই এই উচ্চহারে ড্রপ আউট।
অন্য এক আধিকারিকের মতে "পরীক্ষায় দুর্নীতি রোধ করার জন্য কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা ছাড়া এটিও একটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ হতে পারে।"
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন