উত্তরপ্রদেশে অধিকাংশ জেলা পঞ্চায়েত সভাপতির পদ দখল নিল বিজেপি। ৭৫টি জেলায় পঞ্চায়েত সভাপতি পদের মধ্যে ৬৭টি আসন দখল করেছে বিজেপি জোট। সমাজবাদী পার্টি পেয়েছে মাত্র পাঁচটি। আর জোটসঙ্গী রাষ্ট্রীয় লোকদল একটি।
এপ্রিল মাসে উত্তরপ্রদেশে পঞ্চায়েত ভোট হয়। ৭৫টি জেলায় ৩০৫০ জন পঞ্চায়েত সদস্য নির্বাচিত হন। শনিবার তাঁরা ভোট দিয়ে একেকটি জেলায় পঞ্চায়েত সভাপতি নির্বাচন করেছেন। এদিন ভোটগণনা শুরু হতেই বোঝা যায় যে, প্রায় সর্বত্রই জেলা সভাপতি পদে দখল নিতে চলেছে বিজেপি। ৭৫টির মধ্যে আগে ২১টি দখল করেছিল বিজেপি। ইটাওয়াতে জয় পেয়েছিল সমাজবাদী পার্টি।
৩০৫০ পঞ্চায়েত সদস্যের মধ্যে সমাজবাদী পার্টি পায় ৮৪২টি আসন। বিজেপি পেয়েছে ৬০৩টি আসন। বিএসপি পায় ৩৪২টি, কংগ্রেস ৬৯ ও অন্য ছোট দলগুলি পায় ১০৬টি আসনে জয়। ১০৮৮টি আসনে জয়ী হয়েছে নির্দল। অথচ দেখা গেল অধিকাংশ জেলা পঞ্চায়েত সভাপতি বিজেপি দখল করেছে।
২০২২ সালের শুরুতেই বিধানসভা নির্বাচন। তাই মোদি-যোগী প্রথম থেকেই পঞ্চায়েত সভাপতি দখল করার চেষ্টা চালায়। মায়াবতীও কয়েকদিন ধরে বিজেপি সুরে কথা বলছেন। পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি নির্বাচনে বিএসপি দাঁড়াবে না বলে জানিয়েছে। তা কিছুটা বিজেপির সুবিধার্থে বলে রাজনৈতিক মহল মনে করছে।
এছাড়াও নির্দল ও ছোট দলগুলিকে নানারকম ভয়-ভীতি প্রলোভন দেখিয়ে দখল করার চেষ্টা করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে বিজেপির বিরুদ্ধে। সমাজবাদী পার্টি ৮৪২টি আসন পেয়েও মাত্র পাঁচটি সভাপতি পদ দখল করতে পেরেছে। কিন্তু বিজেপি ৬০৩টি আসন পেয়ে ৬৭টি সভাপতি পদ দখল করেছে।
প্রসঙ্গত, জেলা পঞ্চায়েতের সভাপতি নির্বাচনে মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের বিরুদ্ধে জালিয়াতির অভিযোগ এনেছেন অখিলেশ যাদব। জেলা প্রশাসন জোর করে সপা প্রার্থী ও অন্যান্য বিরোধী দলের প্রার্থীদের মনোনয়ন জমা করতেই দেয়নি। শুধু তাই নয়, সপা নেতাদের হেনস্তার পাশাপাশি তাঁদের বিরুদ্ধে ভুয়ো মামলাও দায়ের করা হয়েছে।
এমনকী, পুলিশের উপস্থিতিতেই সপা প্রার্থীকে অপহরণের চেষ্টাও করা হয় বাস্তিতে। গাজিয়াবাদে দলের প্রার্থী তথা প্রস্তাবককে মনোনয়ন জমা করার আগেই অপহরণ করা হয় বলে অভিযোগ করেছেন অখিলেশ যাদব।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন