বিশ্ব জনসংখ্যা দিবসে উত্তরপ্রদেশের নতুন জনসংখ্যা নীতি প্রকাশ করলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। তাঁর কথায়, সময়ের প্রয়োজনে এই জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ নীতি। ২০২৬ সালের মধ্যে রাজ্যে জন্মের হার হাজারের মধ্যে ২.১ এবং ২০৩০ সালের মধ্যে তা ১.৩ -এ নামাতে চায় সরকার বলে জানিয়েছেন তিনি।
সমাজের বিভিন্ন স্তরের মানুষের কথা মাথায় রেখে এই জনসংখ্যা নীতি আনা হয়েছে বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
রাজ্য বর্তমানে জন্মের হার ২.৭।
যোগী আদিত্যনাথ জানিয়েছেন, "জনসংখ্যা নীতি কেবল জনসংখ্যার স্থিতিশীলতার জন্য নয়, প্রতিটি নাগরিকের জীবনে সুখ ও সমৃদ্ধি আনবে এই নীতি।"
মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, "ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যা বিকাশের পথে বাধা হতে পারে। বিশ্বজুড়ে বিভিন্ন সময় এই নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে। গত চারদশক ধরে এটা নিয়ে আলোচনা চলছে। জনসংখ্যা বৃদ্ধির সাথে দারিদ্র্যও জড়িত রয়েছে। ২০২১-৩০ জনসংখ্যা নীতি নিয়ে সমস্ত সম্প্রদায়কে ভাবনাচিন্তা করতে হবে।"
ইতিমধ্যেই জনগণের প্রতিক্রিয়ার জন্য এই বিলের খসড়া প্রকাশ করা হয়েছে। বিলে বলা হয়েছে দুইয়ের অধিক সন্তান থাকা ব্যক্তি স্থানীয় নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে বা সরকারী চাকরীর জন্য আবেদন করতে পারবেন না। এমনকি সবধরণের সরকারি ভর্তুকি থেকেও বঞ্চিত হবেন তিনি। সরকারি কর্মচারীদের পদোন্নতির ক্ষেত্রেও এই বিষয়টি দেখা হবে।
বিলে আরো বলা হয়েছে, "যে সকল সরকারি কর্মচারী এই দুই-সন্তান নীতি গ্রহণ করবেন তাঁরা পুরো চাকরী জীবনে অতিরিক্ত ইনক্রিমেন্ট পাবেন। পুরো বেতন ও ভাতা সহ ১২ মাসের মাতৃত্বকালীন বা পিতৃত্বকালীন ছুটি পাবেন।"
রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে আগামী বিধানসভা নির্বাচনের আগে এই জনসংখ্যা ইস্যু মূল রাজনৈতিক ফ্ল্যাশপয়েন্ট হয়ে উঠবে। কংগ্রেস এই নীতিকে "রাজনৈতিক এজেন্ডা" বলে উল্লেখ করেছে। রাজ্যের অপর এক বিরোধী সমাজবাদী পার্টি এই নীতিকে "গণতন্ত্রের হত্যা" বলে অভিহিত করেছে।
অপরদিকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী মুখতার আব্বাস নকভি যোগী সরকারের এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন