নিয়ম মেনে মৃতদেহ দাহ করা হচ্ছে না। এই অভিযোগে ৫ জন পুলিশকর্মীকে সাসপেন্ড করা হল। এই ঘটনায় আরও একবার মুখ পুড়ল উত্তরপ্রদেশের রাজ্য সরকারের। এর আগে উত্তরপ্রদেশে নদীতে একের পর এক মৃতদেহ ভেসে আসার ঘটনায় গোটা দেশজুড়ে সমালোচনার ঝড় বয়েছিল। এবারও অভিযোগের আঙুল উঠল রাজ্যে পুলিশের দিকে।
ঘটনাটি ঘটেছে কয়েকদিন আগে উত্তরপ্রদেশের বালিয়া জেলায় গঙ্গার মালদেপুর ঘাটে। সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়া এবং সংবাদমাধ্যমে একটি ভিডিও ভাইরাল হয়। তাতে দেখা যাচ্ছে, টায়ার, পেট্রোল দিয়ে নদীর ধারে একটি দেহ পোড়ানো হচ্ছে। কাঠের বদলে টায়ার এবং পেট্রোল ব্যবহার হচ্ছে। পাশেই দাঁড়িয়ে কার্যত দর্শকের ভূমিকায় আছেন পাঁচ পুলিশ কর্মী। তাঁরা প্রতিবাদ না জানানোয় ধরে নেওয়া হচ্ছে যে, তাঁদের সম্মতিতেই এই কাজ হচ্ছে। ফলে এই নিয়মবিরুদ্ধ কাজে বাধা না দেওয়ার অভিযোগে তাঁদের সাসপেন্ড করা হয়েছে বলে খবর। উত্তরপ্রদেশ পুলিশ প্রশাসন ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে।
প্রসঙ্গত, উত্তরপ্রদেশের মনিকর্ণিকা এবং হরিশচন্দ্র ঘাটে করোনায় মৃত দেহ সৎকার করার ক্ষেত্রে শুধু টাকার খেলা চলে বলে অভিযোগ উঠেছে। করোনার দেহ দাহ করতে ৩৫-৪০ হাজার টাকা করে নেওয়া হচ্ছে। দেহ বাসের মাচায় বাঁধার জন্য ২০০০ টাকা, ঘাটে দেহ বয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য ৫০০ টাকা পর্যন্ত দর হাঁকাহাঁকি চলছে বলে অভিযোগ।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন