উত্তরপ্রদেশ নির্বাচনের ঠিক আগে বড়সড় ধাক্কা খেল যোগী সরকার। একজন মন্ত্রী এবং তিনজন বিধায়ক পদত্যাগ করেছেন। তাঁরা অখিলেশ যাদবের সাথে যোগাযোগ করে সমাজবাদী পার্টিতে যোগ দিয়েছেন। যোগী আদিত্যনাথ সরকারের শীর্ষ মন্ত্রী এবং পিছিয়ে পড়া বর্ণের নেতা স্বামী প্রসাদ মৌর্য টুইটারে তার পদত্যাগপত্র পোস্ট করেছেন।
এরপর আরও ৩ জন বিধায়ক - রোশন লাল ভার্মা, ব্রিজেশ প্রজাপতি এবং ভগবতী সাগর পদত্যাগের কথা ঘোষণা করেন। স্বামী প্রসাদ মৌর্য লিখেছেন “একটি ভিন্ন মতাদর্শ থাকা সত্ত্বেও, আমি যোগী আদিত্যনাথের মন্ত্রিসভায় নিষ্ঠার সাথে কাজ করেছি। কিন্তু কিন্তু দলিত, পিছিয়ে পড়া মানুষ, কৃষক, বেকার যুবক এবং ছোটো মধ্যম শ্রেণীর ব্যবসায়ীদের প্রতি উপেক্ষার কারণে আমি মন্ত্রীসভা থেকে ইস্তফা দিচ্ছি।”
তিনি সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে বলেন – “আমি দল ছাড়ায় বিজেপিতে কী প্রভাব ফেলবে তা ২০২২ সালের বিধানসভা নির্বাচনের পরে স্পষ্ট হবে। ” টুইটারে তিনি পদত্যাগপত্র পোস্ট করার সাথে সাথে, অখিলেশ যাদব মৌর্যের সাথে একটি ছবি টুইট করেছেন। তাঁকে এবং তার সমর্থকদের সমাজবাদী পার্টিতে স্বাগত জানিয়েছেন। ট্যুইটে তিনি লিখেছেন – “আমি সবাইকে স্বাগত জানাই। স্বামী প্রসাদ মৌর্য, একজন নেতা যিনি সামাজিক ন্যায়বিচার এবং সমতার জন্য লড়াই করেন। সামাজিক ন্যায়বিচারে এবারে একটি বিপ্লব হবে। ২০২২ সালে পরিবর্তন আসছেই।”
তিনবারের বিধায়ক রোশন লাল ভার্মা ঘোষণা করেছেন যে তিনি মৌর্যের সাথে বিজেপি ছাড়ছেন। কেশব প্রসাদ মৌর্য, উপ-মুখ্যমন্ত্রী, টুইটারে একটি আবেদন পোস্ট করেছেন। তিনি লিখেছেন – “আমি জানি না স্বামী প্রসাদ মৌর্য কেন পদত্যাগ করেছেন? তবে আমি তাকে আবেদন করছি, পদত্যাগ করবেন না। আমাদের কথা বলতে দিন। তাড়াহুড়ো করে নেওয়া সিদ্ধান্তগুলি বিপরীতমুখী হতে পারে।”
স্বামী প্রসাদ মৌর্য, একজন প্রভাবশালী ওবিসি নেতা এবং একাধিক মেয়াদের বিধায়ক। মায়াবতীর বহুজন সমাজ পার্টি (বিএসপি) ছেড়ে ২০১৬ সালে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন। তিনি পূর্ব উত্তরপ্রদেশের পাদরৌনা থেকে বিজেপির বিধায়ক। তাঁর মেয়ে সংঘমিত্রা বিজেপির সাংসদ।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন