গোশালায় শুয়ে থাকলে এবং সেই জায়গা পরিষ্কার করলেই ক্যানসার থেকে মুক্তি মেলে! গরুর উপকারিতার কথা শোনাতে গিয়ে উদ্ভত এই মন্তব্য করলেন উত্তরপ্রদেশের মন্ত্রী সঞ্জয় সিং গাংওয়ার। উত্তরপ্রদেশের নওগাওয়া পাকাদিয়ায় কানহা গোশালার উদ্বোধনে গিয়ে এমন দাবি করেছেন তিনি। মন্ত্রীর এহেন মন্তব্যে শোরগোল পড়েছে গোটা রাজ্য জুড়ে।
শুধু ক্যানসার থেকেই মুক্তি নয়, গরুর সেবা করলে রক্তচাপের সমস্যা থেকেও মুক্তি মিলতে পারে বলে দাবি করেছেন উত্তরপ্রদেশের মন্ত্রী। যে রোগীদের রক্তচাপের সমস্যা রয়েছে, তাঁদের গরুর পিঠে দিনে দু’বার চাপড় মারার পরামর্শ দেন তিনি। ১০ দিনের মধ্যেই এর সুফল পাওয়া যেতে পারে।
মন্ত্রীর মতে, গরুর পিঠে দিনে দু’বার করে চাপড় মারলে ১০ দিনের মধ্যে রক্তচাপের ওষুধের ডোজ ২০ মিলিগ্রাম থেকে ১০ মিলিগ্রামে নেমে আসবে। ঘুঁটে পোড়ানো ধোঁয়া মশা তাড়াতেও সাহায্য করে বলে জানিয়েছেন তিনি। মন্ত্রী জানান, গরুর শরীর থেকে পাওয়া প্রতিটি জিনিসই কাজের। সেই বিষয়ে ব্যাখ্যা দেওয়ার সময়েই এই মন্তব্যগুলি করেন তিনি।
মন্ত্রীর কথায়, "ক্যানসার আক্রান্ত ব্যক্তি যদি প্রতিদিন গোশালা পরিষ্কার করা শুরু করেন এবং সেখানেই শুয়ে থাকেন, তাতে তাঁর ক্যানসার সেরে যাবে। আপনি যদি গোবরের ঘুঁটে পোড়ান তবে আপনি মশার হাত থেকে মুক্তি পাবেন। গরু থেকে পাওয়া প্রতিটি জিনিস কোনো না কোনোভাবে কাজে লাগে।"
উত্তরপ্রদেশের মাঠে-ঘাটে গরু ঘুরে বেড়ানো নিয়ে অনেক দিন ধরেই সরব হয়েছেন কৃষকদের একাংশ। এর জেরে ফসল নষ্ট হচ্ছে। সে বিষয়ে সঞ্জয়ের দাবি, গরুর প্রতি শ্রদ্ধার অভাব থেকেই এই ধরনের অভিযোগ উঠে আসে। তিনি বলেন, “যে হেতু আমরা মায়ের (‘গোমাতা’) সেবা করছি না, তাই মা আমাদের অন্য কোথাও ক্ষতি করছেন।”
উল্লেখ্য, ২০১২ সালে উত্তরপ্রদেশের বিধানসভা নির্বাচনে সঞ্জয় সিং গাংওয়ার বহুজন সমাজবাদী পার্টির টিকিটে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। কিন্তু সেবার জিততে পারেননি তিনি। এরপর ২০১৭ সালে বিজেপিতে যোগ দেন তিনি। সেবার পিলভিট আসন থেকে জয়ী হন। ২০২২ সালের নির্বাচনেও জয়ী হন এবং মন্ত্রী হন।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন